ঢাকা বুধবার
০৮ মে ২০২৪
২৪ মে ২০১৯

পুলিশ নিয়োগে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ


নিউজ ডেস্ক
154

প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০১৯
পুলিশ নিয়োগে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ



ডেস্ক রিপোর্ট : মাদারীপুরে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মাদারীপুরের ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদারীপুর পুলিশ সুপার। স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ঠ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে অপরাধীদের ধরার জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদারের দেহরক্ষী পুলিশ সদস্য নুরুজ্জামান সুমনকে ঘুষ গ্রহণের নগদ টাকাসহ আটক করা হয়। এছাড়াও পুলিশ সদস্য জাহিদ হোসেন ও টিআই গোলাম রহমান এবং পুলিশ হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী পিয়াস বালার কাছ থেকেও ঘুষের টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে নুরুজ্জামান সুমন ও জাহিদ হোসেনকে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে নজরদারীতে রাখা হয়। টিএসআই গোলাম রহমান এবং পুলিশ হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী পিয়াস বালাকে শাস্তিমুলক বদলি করা হয়েছে। ঘটনাটি গত সোমবার রাতে হলেও বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। কয়েক দফায় মাদারীপুর জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাংবাদিকদের সঙ্গে এবিষয় কথা বলতে রাজি হয়নি। পরে বিষয়টি জানতে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া এন্ড পিআর) সোহেল রানাকে অবগত করলে তিনি আটকের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে বৃহস্পতিবার রাতে মাদারীপুর পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালাদার জরুরী সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিষয়টি অবগত করেন। পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া এন্ড পিআর) সোহেল রানা জানান, ‘মাদারীপুরের একাধিক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। পুলিশ হিসেবে কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি। মাদারীপুরেও যেসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা সুস্থ এবং নির্ভেজাল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য যা যা করা দরকার পুলিশ হেডকোয়ার্টার তা করেছে। যে সকল জেলা থেকেই আমরা খবর পেয়েছি সেখানেই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’ এদিকে, মাদারীপুর পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলনে জানান, জাহিদের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকী কার কাছ থেকে কত উদ্ধার করা হয়েছে তা তিনি জানাতে পারেননি। তিনি আরও জানান, ‘পুলিশ হেডকোয়ার্টারের একজন এডিশনাল এসপি এবং মাদারীপুর সদর থানার ওসি অভিযান পরিচালনা করেন। এদিকে, তার দেহরক্ষীকে টাকাসহ আটকের বিষয় তিনি বলেন, যার যার অপরাধের দায়ভার তারই।’

আরও পড়ুন:

বিষয়: