ঢাকা বুধবার
০৮ মে ২০২৪
২৪ মে ২০১৯

WMA 200 এ বাধা পেল ডিএসইএক্স ইনডেক্স


নিউজ ডেস্ক
156

প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২০
WMA 200 এ বাধা পেল ডিএসইএক্স ইনডেক্স



মোহাম্মদ তারেকুজ্জামানউত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে শেয়ারবাজার অতিবাহিত হচ্ছে। বর্তমান শেয়ার বাজারের বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য আমরা অনুরোধ করেছিলাম স্টক বাংলাদেশের সাবেক টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস কোর্স ইন্সট্রাক্টর ও বর্তমানে এন এল আই সিকিউরিটিজের এক্সেকিউটিভ অফিসার মিঃ মেহেদী আরাফাত এর কাছে। বাজার নিয়ে উনার মূল্যবান অ্যানালাইসিস তুলে ধরা হোল। মেহেদী আরাফাত : টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস অনুযায়ী শেষ কার্জ দিবসে ঢাকা শেয়ার বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়- ডিএসইএক্স ইনডেক্স লেনদেনের শুরু থেকেই বাড়তে থাকে। দিনের শুরুতে ভাল ক্রয়চাপ থাকলেও কিছু সময় পর বিক্রয় চাপের ফলে সূচক নিম্নমুখী হতে থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিক্রয় চাপ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং দিনশেষে সূচক ১২.০৯ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে। সূচকের এ দর পতনের ফলে আজকের ক্যান্ডেলস্টিক একটি নেয়ার ডোজি ক্যান্ডেলস্টিক ছিল। এই নেয়ার ডোজি ক্যান্ডেলস্টিক বাজারের সিধান্তহীনতা প্রকাশ করে। এটি আগামিকালকের বাজারের উপর নির্ভর করবে। TA বিশ্লেষকদের মতে WMA 200 রেখা ডিএসইএক্স ইনডেক্স এর রেজিটেন্স হিসেবে কাজ করছে। ২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে এটি বাজারের ডায়নামিক রেজিটেন্স হিসেবে কাজ করছে, যেটি বাজার ২ বছর ধরে ভাঙতে পারছে না। ২০১৯ সালের শুরুতে একবার ভাঙলেও সেটি ধরে রাখতে পারে নাই। এই বার WMA 200 রেখা সফল ভাবে ভাঙতে পারলেও গতকাল বাধা পেয়েছে। যে কোনদিন এটা ভেঙ্গে উপরের দিকে যাবে ডিএসইএক্স ইনডেক্স, এমনটাই ধারনা করছে TA বিশ্লেষকরা। বর্তমানে ডিএসই এক্স ইনডেক্স এর পরবর্তী সাপোর্ট ৪৩৮০ পয়েন্টে এবং রেজিটেন্স ৪৭৫০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আজ বাজারে এম.এফ.আই এর মান ছিল ৯৭.৩৫ এবং আল্টিমেট অক্সিলেটরের মান ছিল ৮০.২৭। এম.এফ.আই কিছুটা নিম্নমুখী অবস্থান করছে এবং আল্টিমেট অক্সিলেটর কিছুটা নিম্নমুখী অবস্থান করছে। ডিএসইতে ৩৭ কোটি ১ লাখ ২৫ হাজার ৮৬৯ টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়, যার মূল্য ছিল ১০৪৮০.৬৫ কোটি টাকা। ডিএসইতে লেনদেন হ্রাস পেয়েছে ৮০৫ কোটি টাকা। ঢাকা শেয়ারবাজারে ৩৫৪ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যার মধ্যে দাম বেড়েছে ১১১ টির, কমেছে ২১৭ টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৬ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। পরিশোধিত মূলধনের দিক থেকে দেখা যায়, বাজারে চাহিদা বেশী ছিল ৫০-১০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনী প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের যা আগেরদিনের তুলনায় ১৮.১৫% বেড়েছে। অন্যদিকে হ্রাস পেয়েছে ০-২০ এবং ২০-৫০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনী প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের যা আগেরদিনের তুলনায় ১৫.০৪% এবং ১৯.০১% কম। অন্যদিকে ৩০০ কোটি টাকার উপরে পরিশোধিত মুলধনী প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের পরিমান গতকালের তুলনায় ১৫.৩৪% কমেছে। পিই রেশিও ৪০ এর উপরে থাকা শেয়ারের লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৬.৮৭% কমেছে। অন্যদিকে পিই রেশিও ২০-৪০ এর মধ্যে থাকা শেয়ারের লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৭.২৯% বেড়েছে। ক্যাটাগরির দিক থেকে এগিয়ে ছিল ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন যা আগেরদিনের তুলনায় ২৬.৮% বেশী ছিল। বেড়েছে  ‘এন’ ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন যা আগেরদিনের তুলনায় ৪.২৩% বেশী ছিল।  

আরও পড়ুন:

বিষয়: