ঢাকা শনিবার
০৪ মে ২০২৪
২৮ এপ্রিল ২০২৪

দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে ফ্লোরমুক্ত গ্রামীণফোনের শেয়ার


Reporter01
49

প্রকাশিত: ০৪ মার্চ ২০২৪
দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে ফ্লোরমুক্ত গ্রামীণফোনের শেয়ার Collected from google



নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ খাতের গ্রামীণফোনের ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহারের সোমবার (০৪ মার্চ) ছিল দ্বিতীয় দিন। সোমবারও বাজারে শেয়ারের দর হারিয়েছে কোম্পানিটি।  শেয়ারটির সোমবারের বাজারদর গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।

সোমবার  ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম ৪ টাকা ৪০ পয়সা বা ১.৬৮ শতাংশ কমেছে। রোববার শেয়ারটি  ৮.৭২ শতাংশ দর হারিয়েছিল। সোমবার গ্রামীণফোনের লেনদেন শুরু হয় ২৬১ টাকা ৬০ পয়সায় এবং লেনদেন শেষ হয়েছে ২৫৭ টাকা ২০ পয়সায়। এটি গত দুই বছরে এই শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম। ঠিক দুই বছর আগে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ছিলো ৩২৮ টাকা ৭০ পয়সা। সে হিসাবে দুই বছরের ব্যবধানে শেয়ারটির দর কমেছে ৭১ টাকা ৫০ পয়সা বা ২১.৭৫ শতাংশ।

পুঁজিবাজারে বড় দরপতন ঠেকাতে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির শেয়ারে ফ্লোরপ্রাইস আরোপ করেছিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)। সম্প্রতি পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের উপর থেকে ফ্লোরপ্রাইস তুলে নেওয়া হয়।

বিএসইসি’র নির্দেশনা অনুসারে, ৩ মার্চ থেকে কোম্পানিটির শেয়ারের উপর থেকে ফ্লোর উঠিয়ে নেয়া হয়। ফ্লোরমুক্ত হওয়ার প্রথম দিনে কোম্পানিটির শেয়ারের দর ২৫ টাকা বা ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ কমে যায়। এদিন ডিএসইতে পতনের শীর্ষে ছিল গ্রামীণ।

শেয়ারের দাম কমে দুই বছরের সর্বনিম্ন অবস্থানে চলে এলেও এ সময়ে গ্রামীণফোনের ব্যবসায়িক পারফরমেন্সে ছিল ইতিবাচক ধারা। কোম্পানিটি সর্বশেষ হিসাববছরে (২০২৩) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ২৪ টাকা ৪৯ পয়সা, যা আগের বছর ২২ টাকা ২৯ পয়সা ছিল। এ হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ৯.৮৬ শতাংশ। এ সময়ে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ৪৭ টাকা ২৬ পয়সা থেকে বেড়ে ৪৯ টাকা ৩৯ পয়সা হয়েছে। সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটি শেয়ারোহল্ডারদের জন্য ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

পুঁজিবাজারে ২০০৯ সালের ১৬ নভেম্বর গ্রামীণফোনের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়। উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে প্রতিষ্ঠানটির ৯০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।


আরও পড়ুন:

বিষয়: