ঢাকা রবিবার
০৫ মে ২০২৪
২৭ এপ্রিল ২০২৪

ডলারের বিকল্প চিন্তার সময় এসেছে: মোমেন


Reporter01
57

প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ডলারের বিকল্প চিন্তার সময় এসেছে: মোমেন Collected from google



ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে বৈদেশিক লেনদেনে ডলারের বিকল্প চিন্তার সময় এসেছে বলে জানিয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা আকরম খাঁ হলে ‘ইউয়ান-টাকায় ট্রেড ও বাংলাদেশে ডলার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) এ সভার আয়োজন করে।

মোমেন বলেন, ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অন্য মুদ্রা ব্যবহারের ম্যাকানিজম তৈরি করতে হবে। এর নেতৃত্ব সেন্ট্রাল ব্যাংককে দিতে হবে। কিন্তু এটা খুব সহজ নয়। কারণ এটি নতুন কিছু। আমাদের এই বিষয়ে আলোচনা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আজ যে অবস্থায় আছি, কাল সেই অবস্থা থাকবে কি না কেউ জানে না। মনে করেন, আমরা অনেক ডলার রিজার্ভ রাখলাম, অন্যান্য দেশও রাখলো। এর মধ্যে যদি যুদ্ধ হয়, ডলার তো একেবারে কাগজ হয়ে যাবে। যেভাবে পৃথিবী চলছে তাতে আমাদের আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে।

সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি অন্য মুদ্রা ব্যবহারের অনুশীলনটা আগে থেকে করতে পারি, তাহলে হঠাৎ করে কোনো ঝামেলা এলে নিজেদের ব্যবস্থা করতে পারবো। তাই আমাদের এই অনুশীলনটা এখন থেকে শুরু করা উচিত। আমরা প্রাথমিকভাবে ইউয়ান-টাকা, রুপি-টাকা দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে লেনদেন করতে পারি।

মোমেন আরও বলেন, গত ১৫ বছরে আমাদের যে অর্জন, সেই অর্জনে ধাক্কা খেতে চাই না। আমাদের অর্জনটুকু সমানে এগিয়ে নিতে চাই। ২০৪১ সালে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ-স্থিতিশীল-অসাম্প্রদায়িক অর্থনীতির দেশ হবো। কিন্তু সেটা করতে গেলে আমাদের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। সেখানে হঠাৎ করে ধাক্কা খেতে চাই না।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমাস, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


আরও পড়ুন:

বিষয়: