ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
২৪ এপ্রিল ২০২৪

জীবাণুর নতুনতম সংস্করণটির বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা তারা আগামী সপ্তাহগুলোয় পরীক্ষা করে দেখবে।


নিউজ ডেস্ক
162

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারীফেব্রুয়ারি ২০২০
জীবাণুর নতুনতম সংস্করণটির বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা তারা আগামী সপ্তাহগুলোয় পরীক্ষা করে দেখবে।



যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি প্রয়োগের জন্য ইতোমধ্যেই অনুমতি পেয়েছে ফাইজার ও মডার্না ইঙ্কের টিকা। ফাইজারের টিকাদান চলছে সপ্তাহখানেক হলো, অচিরেই মডার্নার টিকাও পাবেন নির্বাচিত জনসমষ্টি। কিন্তু, এর মধ্যেই যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ ছড়ানো করোনাভাইরাসের একটি অভিযোজিত সংস্করণ বিশেষজ্ঞদের উদ্বিগ্ন করেছে। বাজারে আসা বর্তমান টিকা এর বিরুদ্ধে কতটুকু কার্যকর হবে- সেটা ঘিরেই উদ্বেগ তাদের।

তাই নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের আবিষ্কৃত টিকার সক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখছে মডার্না ও ফাইজার ইঙ্ক। বিশেষ করে, যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য কয়েকটি দেশে পাওয়া করোনা জীবাণুর নতুনতম ধরন টিকা দুটি ঠেকাতে পারে কিনা- সেটাই যাচাই করে দেখা এর প্রধান উদ্দেশ্য।

এব্যাপারে কোভিড-১৯ প্রতিষেধক আবিষ্কারক মার্কিন সংস্থা দুটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে তারা জানায়, করোনার নতুন সংস্করণের বিরুদ্ধে আগামী কয়েক সপ্তাহ জুড়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে।

মডার্না ইঙ্কের বিবৃতিতে বলা হয়, "যুক্তরাজ্যে নতুন যে সংস্করণের কথা জানা গেছে তার বিরুদ্ধে মডার্নার টিকার প্রতিরোধ সক্ষমতা সমানতালেই কাজ করবে বলে আমরা বর্তমান তথ্যের ভিত্তিতে নিশ্চয়তা দিতে পারি। তারপরও এব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে আমরা আগামী সপ্তাহগুলোতে অতিরিক্ত কিছু পরীক্ষা চালাব।"

ফাইজার ইঙ্ক বলেছে, ইতোমধ্যেই যারা টিকা পেয়েছেন সেইসব ব্যক্তির রক্তের নমুনা তারা সংগ্রহ করবে। প্রতিষেধকের কল্যাণে রক্তে গড়ে ওঠা প্রতিরোধী ক্ষমতা জীবাণুর নতুন ধরনকে নিষ্ক্রিয় করে কিনা- সেটাই এতে করে পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।

করোনাভাইরাস গোত্রের যে জীবাণুটি মহামারীর জন্য দায়ী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার নাম দিয়েছে সার্স কোভ-২। এটি  নতুন ধরনের করোনাভাইরাস হলেও, যুক্তরাজ্যে পাওয়া সংস্করণটি এর নতুনতম বংশজ এবং ৭০ গুণ বেশি সংক্রামক।

সার্স কোভ-২ এর আগেও অভিযোজিত হয়েছে। মহাকায় দুটি মার্কিন ওষুধ কোম্পানি এর আগে জানিয়েছিল, পূর্বে অভিযোজিত সব সংস্করণের প্রতিরোধেই তাদের টিকা ফলপ্রসূ হয়েছে।

তাদের দেওয়া সাম্প্রতিক বিবৃতির সূত্রে, বিশ্বজুড়ে নতুন সংস্করণটি নিয়ে যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সেটাও স্পষ্ট হয়। যুক্তরাজ্যে এটি বেশ দ্রুতগতিতেই ছড়াচ্ছে, এমনকি সেখান থেকে ছড়িয়েছে ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডের মতো দেশেও।

এই প্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্য থেকে আসা ভ্রমণকারীদের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কানাডাসহ বেশকিছু দেশ। যুক্তরাষ্ট্র এখনও সে সিদ্ধান্ত না নেয়নি। তবে করোনা নেগেটিভ সনদের ভিত্তিতে ব্রিটিশ নাগরিকদের প্রবেশ করার অনুমতি বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবছে হোয়াইট হাউজ।

  • সূত্র: সিএনএন 

আরও পড়ুন:

বিষয়: