৩ কোম্পানির দাপটে টানা শীর্ষে ফুয়েল ও পাওয়ার খাত

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসইতে) ১৭ অক্টোবর, বুধবার সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে ফুয়েল ও পাওয়ার খাতে। ৩টি কোম্পানির দাপটে খাতটি টানা শীর্ষে অবস্থান করছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এবং সামিট পাওয়ার লিমিটেড। মার্কেটের মোট লেনদেন আজ গত কালকের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। ফুয়েল ও পাওয়ার খাতের লেনদেনও আজ ১৫.১৫% বেড়েছে। মোট লেনদেনের দিক থেকে ২৩.৮৫% লেনদেন নিয়ে খাতটি ডিএসইতে শীর্ষে অবস্থান করছে। ডিএসইতে গতকাল এই খাতের অবদান ছিল ২১.০৩% যা আজকের দিনের তুলনায় ২.৮২% কম। এই খাতে আজ সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ারের শেয়ার। কোম্পানিটি আজ মোট ৪২ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে যা মোট লেনদেনের প্রায় ৮.৩৯%। এদিকে গত কালকের তুলনায় শেয়ারটির মূল্য ২.৬১% বৃদ্ধি পেয়েছে। লেনদেনের দিক থেকে আজ দ্বিতীয় অবস্থানে আছে একই খাতের খুলনা পাওয়ার। কোম্পানিটির আজ ৩৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে যা মোট লেনদেনের ৭.৬%। এদিকে শেয়ারটির মূল্য আজ গত কালকের তুলনায় ২.০২% হ্রাস পেয়েছে। এদিকে লেনদেনের ভিত্তিতে সামিট পাওয়ার চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে। লেনদেনে অবদানের ভিত্তিতে দেখলে আজকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল যথাক্রমে টেক্সটাইল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং খাত। টেক্সটাইল খাত: লেনদেনের ভিত্তিতে টেক্সটাইল খাতের অবদান ছিল আজ ১৮.৪৮% যা গত দিনের চেয়ে ০.৮% কম। এই খাতে আজ সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে ড্রাগন সোয়েটার এন্ড স্পিনিং লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটির আজ ২৪ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে যা মোট লেনদেনের প্রায় ৪.৭৯%। পাশাপাশি শেয়ারটির মূল্য গত দিনের চেয়ে ০.২৯% বৃদ্ধি পেয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং খাত: মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান ছিল ১০.৭১% যা গত দিনের চেয়ে ০.১৪% বেশি। এই খাতে আজ সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে ইফাদ অটোস লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটির আজ ১২ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে যা মোট লেনদেনের ২.৩৬%। অবশ্য আজ শেয়ারটির মূল্যে কোনও পরিবর্তন আসেনি। এদিকে আজ ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের মোট ৩৫টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১টির, কমেছে ২১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩টি কোম্পানি। ফুয়েল ও পাওয়ার খাতের ১৯টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫টির, কমেছে ১৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১টি কোম্পানির। টেক্সটাইল খাতের ৫২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫টির, কমেছে ২৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১০টি কোম্পানির।