ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
২৯ এপ্রিল ২০২৪

‘ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগে ঝুঁকি নেই’


Reporter01
78

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
‘ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগে ঝুঁকি নেই’ Collected from online



স্টাফ রিপোর্টার

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ তারেক বলেছেন, ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজের বিনিয়োগে ঝুঁকি অনেক কম। এর মধ্যে ট্রেজারি বন্ডের বিনিয়োগে ঝুঁকি নেই বললেই চলে। কারণ এই বন্ডের গ্যারান্টার হচ্ছে খোদ সরকার। তাই সুদ বা মুনাফার পাশাপাশি বিনিয়োগের আসল টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এবং রয়্যাল ক্যাপিটালের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ইনভেস্টিং বেসিকস অব ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর পুরানা পল্টনের আলরাজি কমপ্লেক্সে সিএমজেএফের অডিটোরিয়ামে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

সিএমজেএফের সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন রয়্যাল ক্যাপিটালের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) মামুনুর রশিদ। কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন রয়্যাল ক্যাপিটালের হেড অব রিসার্চ আকরামুল আলম।

কর্মশালায় ড. মোহাম্মদ তারেক বলেন, করপোরেট তথা বেসরকারি কোম্পানিগুলোর ইস্যু করা বন্ডের মধ্যে যেগুলো উচ্চ ঋণমানসম্পন্ন সেগুলোতেও বিনিয়োগের ঝুঁকি অনেক কম। ক্রেডিট রেটিং এজেন্সির দেওয়া রেটিং দেখে বন্ডের মান ও ঝুঁকি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, সব মানুষের ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা সমান নয়। কেউ কেউ বেশি ঝুঁকি নিতে পারেন, আবার কেউ কম নিতে পারেন। তাই সব বিনিয়োগকারী এক নয়। যেসব বিনিয়োগকারী তেমন ঝুঁকি নিতে চান না, তাদের জন্য বন্ডে বিনিয়োগ একটি ভাল বিকল্প। কারণ ইক্যুইটি বা শেয়ারে বিনিয়োগ তুলনামূলকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ, যদিও এতে রিটার্নের সম্ভাবনাও বেশি থাকে।

তিনি বলেন, আমাদের বন্ড মার্কেট মোটামুটি সূচনা হয়ে গেছে এবং গ্রাজুয়ালি আরও নতুন নতুন প্রোডাক্ট আসছে। এই মুহূর্তে তিনটি এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) চালুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। ইটিএফ অনেকটা মিউচুয়াল ফান্ডের মতোই।

কর্মশালায় রয়্যাল ক্যাপিটালের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) মামুনুর রশিদ বলেন, পুঁজিবাজারে বন্ডসহ ফিক্সড ইনকাম ইনস্ট্রুমেন্টের প্রচলন যত বাড়বে, বাজারে তত ভারসাম্য আসবে এবং ঝুঁকি কমবে। বিনিয়োগকারীদেরকে নতুন নতুন প্রোডাক্টের প্রতি আগ্রহী করে তোলার জন্য তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো জরুরী।


আরও পড়ুন: