ঢাকা সোমবার
২৯ এপ্রিল ২০২৪
২৪ এপ্রিল ২০২৪

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে‌ পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে’


Reporter01
50

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে‌ পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে’ Collected from email



স্টাফ রিপোর্টার

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে‌ পুঁজিবাজারকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যেটা এখনো হয়ে উঠেনি। কারণ আমাদের দেশের মেগা প্রকল্পগুলোতে ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থায়ন হচ্ছে। সেটা উন্নত দেশগুলোতে পুঁজিবাজারের মাধ্যমে হয়। এতে পুঁজিবাজার যেমন বড় হয় তেমনই দেশের উন্নয়নেও অবদান রাখে।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে অনুষ্ঠিত ‘স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম অব ডিএসই গো লাইভ’ প্রোগ্রামের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের চারটি উপাদানের মধ্যে একটি উপদান হল স্মার্ট ইকোনমি। আর স্মার্ট ইকোনমির দুইটি সেক্টর হচ্ছে ক্যাপিটাল মার্কেট ও মানি মার্কেট। আজকের এই বিষয়টি শুধু প্রধানমন্ত্রীর‌ লক্ষ্য পূরণ নয়, এটি স্মার্ট পুঁজিবাজার তৈরির‌ অংশ হিসেবে কাজ করবে। অন্যান্য দেশে পুঁজিবাজার অর্থনীতিতে অনেক ভূমিকা রাখলেও বাংলাদেশে দুর্ভাগ্য জনক সেটা হয় না।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) প্রেসিডেন্ট রূপালী হক চৌধুরী এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম। এছাড়া ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, বলেন, পুঁজিবাজারকে স্মার্ট করার জন্য এর কার্যক্রমকে পেপারলেস করতে হবে। আর সেই পেপারলেসের যাত্রা আজকে এই প্লাটফর্ম চালুর মাধ্যমে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ডিএসই নিজস্ব স্মার্ট ডাকা সেন্টার তৈরি করছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে পুঁজিবাজার যে স্মার্টের দিকে যাচ্ছে সেটা ডিএসই গত বছর থেকেই শুরু করেছে। আজকে ছিল এর দ্বিতীয় উদ্যোগ। পুঁজিবাজারের অন্যতম উপাদান হল স্টেকহোল্ডারদের তথ্য সঠিকভাবে নেয়া। সেটা যদি না নেয়া যায় তাহলে আধুনিক পুঁজিবাজার করা সম্ভব হবে না। সেই তথ্যই স্মার্টভাবে নেয়ার কার্যক্রম আজকে থেকে শুরু করা হল। এতে তথ্য সঠিক সময় পাওয়া যাবে এবং সঠিক সময়ে নানা উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। আমরা যদি সকলকে সঙ্গে নিয়ে পুঁজিবাজারে উন্নয়নে কাজ করতে পারি তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট ইকোনমি বাস্তবায়ন করতে পরবো।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন-প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবে স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম চালু হওয়ায় পুঁজিবাজার আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেমের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো এখন থেকে সহজে নির্ভুল তথ্য প্রকাশ করতে পারবে। আগে যে ইচ্ছা ও অনিচ্ছাভাবে ভুল তথ্য প্রদান ও প্রকাশ করার ঝুঁকি ছিল সেই ঝুঁকি আর থাকবে না। এবং কেউ কোনো অনিয়ম করলে তা সহজেই চিহ্নিত করা যাবে।

তিনি আরো বলেন, আজকের এই কার্যক্রম শুরুর ফলে পুঁজিবাজারের জন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপের যাত্রা শুরু হল। ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে সঙ্গতি রেখে শেনঝেন স্টক এক্সচেঞ্জের সহযোগিতায় ডিএসই’র কর্মকর্তাবৃন্দ স্পেশাল সাবমিশন সিস্টেম তৈরি করেছে। এতোদিন কোম্পানির বিভিন্ন তথ্য ম্যানুয়ালি সাবমিশন করা হতো। যারফলে অনিচ্ছাকৃত ভুল হবার সম্ভাবনা থাকতো। এই সফটওয়্যারটি চালু হবার ফলে এই সমস্যাটিকে সমাধান হবে। আর এর ফলে কমপ্লায়েন্স পরিপালন করা সহজ হবে। একই সাথে ইনফরমেশন গ্যাপ ও অনিয়ম কমে যাবে।


আরও পড়ুন: