ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে


নিউজ ডেস্ক
64

প্রকাশিত: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে



গতকাল সকাল থেকে দুই দেশের সীমান্তে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে। এসব ট্রাকে কাঁচামালসহ বিভিন্ন রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল রয়েছে। পেট্রাপোল বন্দরে ল্যান্ড পোর্ট ম্যানেজারের (এলপি) বিভিন্ন হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন, ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন, যাত্রীবাহী পরিবহন সমিতিসহ বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন।এ নিয়ে এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো পেট্রাপোল বন্দরে ধর্মঘটের ডাক দেয় সংগঠনগুলো।

বেনাপোল বন্দরের একটি সূত্র জানিয়েছে, গতকাল পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ ধর্মঘট ডাকা সংগঠনগুলোর সঙ্গে দফয় দফায় আলোচনায় বসেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহারের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ এ সমস্যার দ্রুতই সমাধান করবে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল বন্দর-সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, পেট্রাপোল বন্দরের নতুন ল্যান্ড পোর্ট ম্যানেজার (এলপি) যোগ দেয়ার পর বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে কোনো কথা না বলে হঠাৎ করে বিভিন্ন নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে ইউনিক কার্ড ছাড়া ট্রান্সপোর্ট কর্মচারী ও ট্রাকচালকরা আইসিপি বন্দরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। ভারতীয় পণ্যবোঝাই প্রতিটি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের আগে বিএসএফ সদস্যরা ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে তল্লাশির নামে হয়রানি করছেন। নির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াই প্রতিটি ট্রাক এভাবে তল্লাশি করায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ প্রতিবাদ চলবে।

পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দরের নতুন ম্যানেজার বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে কোনো কথা না বলে বন্দর এলাকায় প্রবেশের ওপর নতুন নতুন আইন তৈরি করে বাণিজ্যে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন। পরিবহন কাজে জড়িত কর্মীদের আইসিপিতে প্রবেশের মুখে বিএসএফের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। ইউনিক কার্ড ছাড়া কোনো পরিবহনকর্মীকে আইসিপি ও বন্দর অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এসব হয়রানির প্রতিবাদে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করা হলেও ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দরের ম্যানেজার তার সিদ্ধান্তে অটল। আমদানিরফতানি কাজে বন্দর অভ্যন্তরে প্রবেশসহ নানা হয়রানি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। ধর্মঘট থাকায় সকাল থেকে বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন তরফদার এ বিষয়ে বণিক বার্তাকে বলেন, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ধর্মঘটের কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। ওপারে বন্দরের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বন্দর ব্যবহারকারীরা আন্দোলন করছেন। তারা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আজ (গতকাল) সন্ধ্যায় পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ধর্মঘট ডাকা সংগঠনগুলো বৈঠক করেছে।এখনো তারা আমাদের কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি।


আরও পড়ুন:

বিষয়: