ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

আমানতকারীদের পাওনা পরিশোধে ১৫ বছর সময় চেয়েছেন পিপলস লিজিং


নিউজ ডেস্ক
58

প্রকাশিত: ০২ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২১
আমানতকারীদের পাওনা পরিশোধে ১৫ বছর সময় চেয়েছেন পিপলস লিজিং



পিপলস লিজিংয়ের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় রয়েছেন প্রতিষ্ঠানটিরই সাবেক পরিচালক আলমগীর শামসুল আলামিন। এ ছাড়া আছেন আর্থিক খাতের সফটওয়্যার সরবরাহকারী কোম্পানি ফ্লোরা টেলিকমের কর্ণধার মোস্তফা রফিকুল ইসলাম ও শেয়ারবাজারের সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রিয়াজ ইসলাম। আমানতকারীদের আমানত ফিরিয়ে দেওয়ার কৌশলসহ পুনর্গঠনের সার্বিক দিক তুলে ধরে আলমগীর শামসুল আলামিন, মোস্তফা রফিকুল ইসলাম এবং রিয়াজ ইসলাম গত ১৫ জুলাই একটি আবেদন করেছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের তৎকালীন সচিব মো. আসাদুল ইসলামের কাছে।
২০১৯ সালে পিপলস লিজিংকে অবসায়নের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরে সরে এসে এটিকে পুনর্গঠনের পথে নিয়ে যায়। আমানতকারীরা পাওনা টাকার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।আদালতের নির্দেশে পিপলস লিজিংয়ে অন্যদের সঙ্গে পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হন নাশিদ কামাল, যিনি প্রতিষ্ঠানটির একজন আমানতকারীও। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ মানবিক কারণে কিছু টাকা পাচ্ছেন। তা-ও সামান্য। তবে আমি কোনো টাকা পাইনি।’ পরিচালক হিসেবে অবশ্য তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। ১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিপলস লিজিংকে অনুমোদন দেয়। কার্যক্রম শুরুর ২২ বছর পর পিপলস লিজিংকে অবসায়নের পক্ষে সম্মতি দেয় সরকার। এরপর আদালতের আদেশে অবসায়ক নিযুক্ত হন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আদালতের নির্দেশ মেনে পিপলস লিজিংকে প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সরকার চাইলে যেকোনো সিদ্ধান্তই নিতে পারে। ২০০৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি পিপলস লিজিং। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত কোম্পানিটিতে আমানতের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭০০ কোটি টাকা ৬ হাজার ব্যক্তির আমানত। আমানতের বিপরীতে কাগজে-কলমে ৩ হাজার ২৬৯ কোটি টাকার সম্পদ দেখানো হলেও বাস্তবে তা এক-তৃতীয়াংশ হবে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন:

বিষয়: