ঢাকা শনিবার
২৭ এপ্রিল ২০২৪
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১

ট্রেক ইস্যুতে নতুন চ্যালেঞ্জে সিএসই


নিউজ ডেস্ক
96

প্রকাশিত: ০৯ মার্চ ২০২১
ট্রেক ইস্যুতে নতুন চ্যালেঞ্জে সিএসই



পুঁজিবাজারে গতি আনতে নতুন ট্রেক ইস্যুর বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। ইচ্ছুক ব্যক্তিদের যথাক্রমে আগামী ১৮ মার্চ ও ১৫ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করার সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে। এ জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি নির্ধারিত একই মূল্যে এবং শর্তে আবেদন করতে হবে। তবে বাজারের ৯৫ শতাংশ হিস্যা থাকা ডিএসইর একই শর্তে লেনদেনে ধুঁকতে থাকা অন্য স্টক এক্সচেঞ্জ সিএসইতে পর্যাপ্ত আবেদন আসবে কি না সেই নিয়ে সংশয়ে রয়েছে খোদ সিএসই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বরং সমস্যায় জর্জরিত চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ নতুন ট্রেক ইস্যু নিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জেই পড়তে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। দুই স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে নতুন ট্রেক ইস্যুর জন্য যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে তাতে একক প্রার্থীর ক্ষেত্রে ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন পাঁচ কোটি টাকা, দেশি-বিদেশি যৌথ বিনিয়োগে আট কোটি এবং সম্পূর্ণ বিদেশি মালিকানার ক্ষেত্রে ১০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। জামানতের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৩, ৪ ও ৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ডিএসইতে নতুন ট্রেক ইস্যুর আবেদনের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৮ মার্চ। তবে সিএসইতে আবেদনের জন্য আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় পাচ্ছেন ট্রেক প্রত্যাশীরা। নতুন ট্রেক ইস্যুর কার্যক্রম বিলম্বে শুরুর কারণ বলতে গিয়ে সিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারে ডিএসই এবং সিএসইর অংশীদারির মধ্যে বিশাল ফারাক রয়েছে। একই প্রাইসে যিনি ডিএসইতে ট্রেক পাবেন তিনি সিএসইতে আসবেন না। তাই আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য আলাদা দর প্রস্তাবের সুপারিশ করেছিলাম। সর্বশেষ বৈঠকেও আমরা সেটা তুলে ধরেছি। এ ছাড়া ডিএসইর সঙ্গে বৈঠকেও সেটা বলেছি। এ কারণেই কিছুটা দেরি হয়েছে।’ সিএসই সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যারাই নতুন ট্রেক পাবে তারা স্বাভাবিকভাবে সর্বোচ্চটা দিয়ে ব্যবসায় মনোনিবেশ করবে। মার্কেটে নিজেদের অংশীদারি বাড়াতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। এতে বাজারে যেমন গতি আসবে, তেমনি নতুন নতুন বিনিয়োগকারীদের আগমন ঘটবে, যার পুরোপুরি ফায়দা পাবে ডিএসই। যাদের হাতে এরই মধ্যে পুঁজিবাজারের প্রায় ৯৫ ভাগ হিস্যা রয়েছে। নতুন ট্রেক ইস্যুর মাধ্যমে এ হিস্যা আরো বাড়বে নিশ্চিত। বিশেষ করে সিএসই সিঙ্গেল ব্রোকারদের শীর্ষে থাকা ব্রোকাররা ডিএসই ট্রেক পেলে সিএসই লেনদেনে আরো ভাটা পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সিএসইর একাধিক পরিচালক। সিএসইর অন্যতম শীর্ষ ট্রেডার বি রিচ লিমিটেডও ডিএসইর ট্রেকের জন্য আবেদন করবে বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নতুন ট্রেক ইস্যুর জন্য ডিএসই যা চেয়েছে তার সব যোগ্যতা বি রিচের আছে। তবে ডিএসই কয়টা ট্রেক ইস্যু করবে জানি না। তাই আবেদন করেও সবাই ট্রেক নাও পেতে পারে।’ ডিএসইতে নতুন ট্রেক ইস্যুতে সিএসইর লেনদেনে প্রভাব পড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এতে সিএসইর সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে সিএসইর সিঙ্গেল টপ ব্রোকারদের যদি প্রথম পাঁচ সদস্যও ডিএসই ট্রেকের লাইসেন্স পায় সে ক্ষেত্রে সিএসইর লেনদেনে অবশ্যই প্রভাব পড়বে। কারণ এই ডিএসইর ট্রেক পেলে তাদের সেভাবে নতুন বিনিয়োগকারী বাড়বে না। ফলে বর্তমানের লেনদেনই দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। স্বাভাবিকভাবে এর বড় অংশই যাবে ডিএসইতে। সে ক্ষেত্রে বর্তমান ট্রেডের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ কমবে সিএসইতে।’ অবশ্য সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন-উর-রশিদ নতুন ট্রেক এলে তাতে সিএসইর লেনদেনে গতি আসবে উল্লেখ করে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নতুন ট্রেকে বাজারের গভীরতা আরো প্রশস্ত হবে, ব্যবসা বড় হবে। যারা সিএসইর ট্রেক কিনবেন আমরা তাঁদের সর্বোচ্চ সহায়তা দিব। তা ছাড়া ডিজিটাল বুথ সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।’বোর্ডে আপাতত ৩০টি নতুন ট্রেক ইস্যুর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। যদিও কৌশলগত অংশীদারদের ( স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার) আকৃষ্ট করতে নতুন ১০০ ট্রেক ইস্যুর পরিকল্পনা করেছিল সিএসই।

আরও পড়ুন: