শেয়ারবাজারের অস্বাভাবিক অবস্থা আর নেই : অর্থমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
90
প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার : শেয়ারবাজারে সুন্দর অবস্থান তৈরি করে দেয়াই হবে আমার কাজ। যাতে শেয়ারবাজার নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। বর্তমানে পুঁজিবাজারের চলমান দুরবস্থা এবং বিনিয়োগকারীদের আন্দোলন নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা জানান। বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজারকে শক্ত ভিত্তিতে দাঁড় করাতে কাজ করছে সরকার। এ জন্য বাজেটে নানা উদ্যোগের কথাও জানান তিনি। শেয়ারবাজারে লাভ লোকশানের সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কারণ পুঁজিবাজারে সরকারের শেয়ার খুব কম রয়েছে। এখান থেকে সরকার শেয়ার বিক্রি করে বের হয়ে যাবে এমনটি নয়।’
মুস্তফা কামাল বলেন, শেয়ারবাজার একটি বাজার। এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। তবে লাভও হতে পারে আবার লোকসানও হতে পারে। প্রত্যেক দেশেই পুঁজিবাজারে মাঝে মধ্যে শেয়ারের দাম কমে। এখন একটা ট্রেড দাম চলছে। সেটা খুব বেশি দিন থাকবে না। আগে যে অস্বাভাবিক অবস্থা ছিল সেটা আর নেই। ১৯২৯-৩৩ সাল পর্যন্ত চার বছরে একবার ট্রেড ওয়ার হয়েছিল। সে সময় ২০ হাজার আইটেমের উপর ট্যারিফ বসানো হয়েছিল। এ কারণে বিশ্বে তখন প্রায় ৬৬ শতাংশ বাণিজ্য কম হয়েছিল। কিছুদিন আগে চায়না-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটা সমস্যা সৃষ্টির কারণে ৪-৫ শতাংশের মত ট্রেড কমে গেছে। এসব জিনিস অনেক সময় শেয়ারবাজারে প্রভাব ফেলে। তবে সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক দেশের পুঁজিবাজারে শেয়ারের দাম কমে আবার বাড়ে। তবে পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার নজির নেই। ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভারতের পুঁজিবাজারের ইনডেক্স ১৮ হাজার থেকে ৭ হাজারে নেমে এসেছিল। সেখানে কমেছে আবার বেড়েছে। আমাদের এখানেও বেড়েছে আবার কমেছে। আমাদের পুঁজিবাজারে এখন খুব বেশি উঠানামা নেই। স্থিতিশীল রয়েছে।
‘পুঁজিবাজারের জন্য সরকারের যেটুকু করার সেটুকু করা হবে। আমাদের অর্থনীতি খুব শক্তিশালী এটা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। পুঁজিবাজারে এটার প্রভাব আশা উচিত। পুঁজিবাজারে শক্তিশালী বা বড় বিনিয়োগকারী ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী থাকা দরকার। তবে আমাদের পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর সংখ্যাই বেশি।’
মন্ত্রী বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা দিলে এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়ে। আমাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা শুধু লাভ করতে চায়। ট্রেড করে ছোট্ট লাভ করে বেরিয়ে যেতে চায়। এটা কিন্তু পুঁজিবাজার না। পুঁজিবাজারের দুটি পদ্ধতি আছে। একটা হচ্ছে আপনি ট্রেড করবেন লাভ করবেন। আবার আপনি ইনভেস্টমেন্ট ধরে রাখবেন যাতে ক্যাপিটাল গেইন পেতে পারেন। আমাদের এখানে দুঃখজনক যে ক্যাপিটাল গেইনের চিন্তায় করে না।
‘আমার ১০০ টাকার শেয়ার কবে ১৫০ টাকা হবে এটা কেউ চিন্তা করে না। আমার কাছে যা ছিল পুঁজিবাজারের জন্য বাজেটে আমি তা করেছি। ডিভিডেন্টের উপর একাধিকবার করারোপ তুলে দেয়া হয়েছে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলে ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কর ছাড় দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারের জন্য সরকারের তরফ থেকে যা করা দরকার করবো। কারণ এখনো হাজার হাজার মানুষ পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সুতরাং তাদেরকে বাদ দিয়ে দেশের অর্থনীতি চিন্তা করতে পারি না। তাই তাদের সমর্থন দিতে আমরা কাজ করে যাবো।
আরও পড়ুন:
বাজার প্রতিদিন সম্পর্কিত আরও
পুঁজিবাজারে নারী বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিএসইর কর্মশালা
২৯ এপ্রিল ২০২৪
লোকসান কাটাতে পারেনি মেট্রো স্পিনিং
২৯ এপ্রিল ২০২৪
ডিএসইর পর্ষদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বিএসইসি চেয়ারম্যান
২৭ এপ্রিল ২০২৪
সিমটেক্সের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
২৭ এপ্রিল ২০২৪
পুঁজিবাজার অস্থিতিশীলকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি প্রধান
২৭ এপ্রিল ২০২৪
নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে চার কোম্পানি
২৪ এপ্রিল ২০২৪