ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

‘শিল্পায়নে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো জরুরি’


নিউজ ডেস্ক
72

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০১৯
‘শিল্পায়নে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো জরুরি’



স্টাফ রিপোর্টার : দেশে শিল্পায়ন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও মেশিনারিজ ব্যবহার বাড়িয়ে দূষণ রোধ করতে হবে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে সরকার সবুজ প্রযুক্তিকে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে বলেও জানান তারা। সম্প্রতি নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে ‘প্রমোটিং গ্রিন টেকনোলজি ইন বাংলাদেশি ইন্ডাস্ট্রিজ অপরচুনিটিস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক ডায়ালগে এসব কথা বলা হয়। চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই), বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) ও বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডির (বিসিএএস) যৌথ আয়োজনে ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের আওতাধীন প্রমোটিং নলেজ ফর একাউন্টেবল সিস্টেমের (পিআরওকেএএস) সহায়তায় এ ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়। চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের নির্বাহী পরিচালক আবু ফারাহ মো. নাসের, পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রামের পরিচালক মো. আজাদুর রহমান মল্লিক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফ ইফতেখার, বিল্ডের সিইও ফেরদৌস আরা বেগম, পিআরওকেএএসের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ফরহাদ হোসেন, চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, নবনির্বাচিত পরিচালক এসএম আবু তৈয়ব, সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, লুব-রেফের পরিচালক সালাউদ্দিন ইউসুফ, বিসিএএসের সিনিয়র রিসার্চ অফিসার সুবুরুন্নেসা বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিল্ডের অতিরিক্ত রিসার্চ ডিরেক্টর তাহমিদ জামী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে চেম্বার সিনিয়র সহসভাপতি মো. নুরুন নেওয়াজ সেলিম, পরিচালক কামাল মোস্তফা চৌধুরী, ছৈয়দ ছগীর আহমদ ও মো. আবদুল মান্নান সোহেল, নবনির্বাচিত পরিচালক তাজমীম মোস্তফা চৌধুরী, ব্যবসায়ী নেতা তাহের সোবহান, উইমেন চেম্বার, বিকেএমইএ, বিএসআরএম গ্রুপ, মোস্তফা গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ ও প্যাসিফিক জিন্সের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, মধ্য আয়ের দেশ এবং ক্রমান্বয়ে উন্নত দেশে পরিণত করতে হলে বাংলাদেশে অবশ্যই শিল্পায়ন বৃদ্ধি করতে হবে যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। তৈরি পোশাক রফতানিতে ৫০ বিলিয়ন ডলারসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় শিল্প যেমন চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস, প্লাস্টিক, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি শিল্পে প্রচুর অগ্রগতি সাধিত হবে। তবে শিল্পায়নের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত গ্যাস নিঃসরণ, নদীতে ও স্থলে বিভিন্ন শিল্প বর্জ্য মিশ্রণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা অপরিহার্য। তাই পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও মেশিনারিজ ব্যবহার করে দূষণ রোধ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের ইডি আবু ফারাহ নাসের পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ, স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, পৃথিবী এখন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই এক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। পরিবেশ অধিদফতর, চট্টগ্রামের পরিচালক মো. আজাদুর রহমান মল্লিক বলেন, শিল্প ক্ষেত্রে জিরো ওয়াটার ডিসচার্জ কার্যক্রম চট্টগ্রামে বেশ সাফল্য লাভ করেছে এবং এ অঞ্চলের অনেক কারখানা ইটিপি চালু করেছে। তিনি অদূর ভবিষ্যতে দূষণ আরও কমে আসবে বলে প্রত্যাশা করেন এবং বিশেষ করে অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্লাস্টার পদ্ধতি চালু করে ইটিপি স্থাপনের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফ ইফতেখার বলেন, ইটিপি স্থাপন করা হলে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে তা উদ্যোক্তাদের জানাতে হবে। তিনি স্থানীয় প্রযুক্তির উন্নয়ন, গবেষণার ক্ষেত্রে যথাযথ কর্মনির্দেশনা প্রদান এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে এক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত উন্নয়ন সম্ভব বলে মনে করেন। বিল্ডের সিইও ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, উন্নত দেশগুলোতে পরিবেশবান্ধব শিল্প কারখানাগুলো তাদের বর্জ্য পদার্থ পুনঃপ্রক্রিয়া করে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করে থাকে। তিনি গবেষণার মাধ্যমে লব্ধ পদ্ধতিসমূহ শিল্প কারখানায় বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে গবেষকদের অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আরও পড়ুন:

বিষয়: