ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
২৯ এপ্রিল ২০২৪

এসএমইতে অদ্ভুত লেনদেন!


Reporter01
62

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
এসএমইতে অদ্ভুত লেনদেন! Collected from google



স্টাফ রিপোর্টার

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এসএমই মার্কেটে অদ্ভুত লেনদেন হয়েছে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে এই বাজারের বেশিরভাগ কোম্পানি শেয়ারের দর হারিয়েছে। অথচ দিনের মাঝভাগে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল আগের দিনের চেয়ে বেশি। এমনকি প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের দাম দিনের কোনো এক সময়ে আগের দিনের দামকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

রোববার এই বাজারে তালিকাভুক্ত ১৭টি কোম্পানির সবগুলোরই লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে মাত্র ৪টির। বাকী ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। যে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে, সেগুলোর শেয়ারের দামও দিনের এক পর্যায়ে আগের দিনের দামকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ ১৭টি কোম্পানির প্রতিটিরই শেয়ারের দাম বেড়েছিল আজ।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্টার অ্যাডহেসিভের দাম ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়ে ৬৬ টাকা ২০ পয়সা হয়েছে। এপেক্স ওয়েভিংয়ের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। দিনশেষে এর শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা। ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজের শেয়ারের দাম ২ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়ে ৪৬ টাকা ৯০ পয়সা হয়েছে। নিয়ালকো অ্যালয়েজের শেয়ারের দাম বেড়েছে দশমিক ৮৭ শতাংশ। দিনশেষে এর শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ৫০ পয়সা।

দর হারানো কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ দর কমেছে হিমাদ্রির শেয়ারের। দিনশেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫০৩ টাকা ৩০ পয়সা। গতকাল শেয়ারটির ক্লোজিং মূল্য ছিল এক হাজার ২৮ টাকা ৩০ পয়সা। রোববার এর মূল্য আগের দিনের চেয়ে বেড়ে এক হাজার ৩৫ টাকা ১০ পয়সা পর্যন্ত উঠেছিল।

বিডি পেইন্টসের শেয়ারের দাম ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমে ২৭ টাকা ৪০ পয়সা হয়েছে। গতকাল ডিএসইতে এই শেয়ারের ক্লোজিং মূল্য ছিল ২৯ টাকা ৬০ পয়সা। দিনের এক পর্যায়ে রোববার এর দাম ২৯ টাকা ৬০ পয়সা হয়েছিল।

মোস্তফা মেটালসের শেয়ারের দাম কমেছে ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। দিনশেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৭০ পয়সা। গতকাল ডিএসইতে এই শেয়ারের ক্লোজিং মূল্য ছিল ১৪ টাকা ৭০ পয়সা। দিনের এক পর্যায়ে আজ এর দাম ১৫ টাকা ২০ পয়সা হয়েছিল।

অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে মামুন এগ্রোর শেয়ারের দাম কমেছে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। গতকাল ডিএসইতে এই শেয়ারের ক্লোজিং মূল্য ছিল ৩০ টাকা ২০ পয়সা। দিনের এক পর্যায়ে রোববার এর দাম ৩০ টাকা ৩০ পয়সা হয়েছিল।

ওরিজা এগ্রোর শেয়ারের দাম ৫ দশমিক ১২ শতাংশ কমেছে। গতকাল ডিএসইতে এই শেয়ারের ক্লোজিং মূল্য ছিল ১৯ টাকা ৫০ পয়সা। দিনের এক পর্যায়ে রোববার এর দাম ১৯ টাকা ৭০ পয়সা হয়েছিল।

রোববার, এগ্রো অর্গানিকার শেয়ারের দাম কমেছে ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গতকাল ডিএসইতে এই শেয়ারের ক্লোজিং মূল্য ছিল ৩১ টাকা ৬০ পয়সা। দিনের এক পর্যায়ে রোববার এর দাম ৩২ টাকা পয়সা হয়েছিল।

এমকে ফুটওয়্যারের ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমেছে রোববার। গতকাল ডিএসইতে এই শেয়ারের ক্লোজিং মূল্য ছিল ৫৩ টাকা ৩০ পয়সা। দিনের এক পর্যায়ে রোববার এর দাম ৫৫ টাকা ৭০ পয়সা হয়েছিল।

কৃষিবিদ সিডসের শেয়ারের দাম কমেছে ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। গতকাল ডিএসইতে এই শেয়ারের ক্লোজিং মূল্য ছিল ১৮ টাকা। দিনের এক পর্যায়ে এর দাম ১৮ টাকা ৮০ পয়সা হয়েছিল। আল-মদিনা ফার্মার শেয়ারের দাম ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমেছে। গতকাল ডিএসইতে এই শেয়ারের ক্লোজিং মূল্য ছিল ৪০ টাকা ১০ পয়সা। দিনের এক পর্যায়ে রোববার এর দাম ৪২ টাকা হয়েছিল।

কৃষিবিদ ফিডের ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমেছে। গতকাল ডিএসইতে এই শেয়ারের ক্লোজিং মূল্য ছিল ৩২ টাকা ৩০ পয়সা। দিনের এক পর্যায়ে রোববার এর দাম ৩৩ টাকা হয়েছিল।

এদিন মাস্টার ফিড এগ্রোর শেয়ারের দাম কমেছে দশমিক ৮৭ শতাংশ। গতকাল ডিএসইতে এই শেয়ারের ক্লোজিং মূল্য ছিল ১১ টাকা ৫০ পয়সা। দিনের এক পর্যায়ে রোববার এর দাম ১১ টাকা ৮০ পয়সা হয়েছিল।

আছিয়া ফুডের দশমিক ৩৭ শতাংশ কমেছে রোববার। গতকাল ডিএসইতে এই শেয়ারের ক্লোজিং মূল্য ছিল ২৭ টাকা। দিনের এক পর্যায়ে রোববার এর দাম ২৮ টাকা হয়েছিল।

রোববার বেঙ্গল বিস্কুটের দশমিক ৩২ শতাংশ কমেছে। গতকাল ডিএসইতে এই শেয়ারের ক্লোজিং মূল্য ছিল ৯১ টাকা ৩০ পয়সা। দিনের এক পর্যায়ে রোববার এর দাম ৯২ টাকা ৭০ পয়সা হয়েছিল।

বেশিরভাগ কোম্পানি শেয়ারের দর হারানোয় রোববার এসএমই বাজারের সূচক ডিএসএমই ইনডেক্সে বড় পতন ঘটে। এই সূচকটি আগের দিনের কমে ৩৯ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট কমে এক হাজার ২২৪ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট দাঁড়ায়। আগের দিনের চেয়ে সূচক কমে তিন দশমিক ১২ শতাংশ।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বিনিয়োগকারীদের সেন্টিমেন্টের কারণে এ ধরনের লেনদেন হয়ে থাকে। মূল বাজারে সূচক ও লেনদেনে গতি দেখে দিনের এক পর্যায়ে অনেক বিনিয়োগকারী এসএমই বাজারেও যথেষ্ট সক্রিয় হয়েছিলেন। তাতে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বেড়েছে। কিন্তু মূল বাজার অতিমাত্রায় চাঙ্গা হয়ে উঠায়, অনেক বিনিয়োগকারী পরে এসএমই থেকে মূল বাজারে সুইচ করেছেন। সে কারণে দিনের মাঝভাগের চাঙ্গাভাব আর শেষ পর্যন্ত থাকেনি।


আরও পড়ুন: