ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

এখনো ১৮০ কোটি শেয়ার সিএমএসএফে জমা হয়নি


নিউজ ডেস্ক
124

প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২২
এখনো ১৮০ কোটি শেয়ার সিএমএসএফে জমা হয়নি



পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অবণ্টিত লভ্যাংশ নিয়ে গঠন করা বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট স্টাবিলাইজেশন ফান্ডে (সিএমএসএফ) এখনো ২২৩টি কোম্পানির প্রায় ১৮০ কোটি শেয়ার জমা হয়নি। এ ফান্ডে মোট ৩৪৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের অবণ্টিত ১৮৩ কোটি ৬১ লাখ শেয়ার জমা হওয়ার প্রত্যাশা রা হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত এখানে মাত্র ১২০টি কোম্পানি ৩ কোটি ৬৩ লাখ শেয়ার জমা দিয়েছে। সিএমএসএফ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, এখন পর্যন্ত সিএমএসএফ ফান্ডে জমা না দেয়া শেয়ারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭১ দশমিক ৫৫ শতাংশ বাকি রয়েছে ব্যাংক খাতের ২৭টি কোম্পানির কাছে। কোম্পানিগুলোর কাছে ১২৮ কোটি ৪৬ লাখ ৬৮ হাজার ২৫৮টি শেয়ার অবণ্টিত রয়েছে। এ তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার অবণ্টিত রয়েছে আর্থিক খাতের ১১ কোম্পানির। কোম্পানিগুলোর ১৮ কোটি ৭৬ লাখ ২৮ হাজার ১৮৫টি শেয়ার সিএমএসএফে জমা দেয়ার কথা রয়েছে। ফান্ডে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার জমা দেয়ার কথা রয়েছে পেপার ও প্রিন্টিং খাতের ২ কোম্পানির। এ দুই কোম্পানির কাছে ১০ কোটি ৭১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮২টি অবণ্টিত শেয়ার রয়েছে। চতুর্থ অবস্থানে থাকা ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৫ কোম্পানির কাছে ৫ কোটি ৪৯ লাখ ৯৭ হাজার ৬১৫টি অবণ্টিত শেয়ার রয়েছে, যা শতকরা হিসাবে ৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। তালিকার পঞ্চম অবস্থানে থাকা বিবিধ খাতের ১০ কোম্পানির কাছে ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ার অবণ্টিত রয়েছে। কোম্পানিগুলোর কাছে মোট ৩ কোটি ৫২ লাখ ২৫ হাজার ৮৫৫টি শেয়ার অবণ্টিত রয়েছে।

তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রকৌশল খাতের ২৩ কোম্পানির কাছে ৩ কোটি ৪৫ লাখ ২৬ হাজার ৯৬২টি (১ দশমিক ৯২ শতাংশ), বস্ত্র খাতের ৩৫ কোম্পানির কাছে ৩ কোটি ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৩০১ (১ দশমিক ৬৯ শতাংশ), যোগাযোগ খাতের এক কোম্পানির কাছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ২৫ হাজার ৩৫৪ (দশমিক ৮৬ শতাংশ), বীমা খাতের ২২ কোম্পানির কাছে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩৩ (দশমিক ৮১ শতাংশ), বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১০ কোম্পানির কাছে ৮৪ লাখ ২২ হাজার ২৭৯ (দশমিক ৪৭ শতাংশ), খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ১৩ কোম্পানির কাছে ৬৯ লাখ ১৯ হাজার ৫৯৪ (দশমিক ৩৯ শতাংশ), ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২৬ কোম্পানির কাছে ৫৩ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬৩ (দশমিক ৩০ শতাংশ), সিরামিক খাতের দুই কোম্পানির কাছে ৪৯ লাখ ৭ হাজার ২৫৫ (দশমিক ২৭ শতাংশ), তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ছয় কোম্পানির কাছে ৪১ কোটি ৯৫ লাখ ৪৮৪ (দশমিক ২৩ শতাংশ), সিমেন্ট খাতের পাঁচ কোম্পানির কাছে ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৭৩৩ (দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ), সেবা খাতে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৪২০ (দশমিক শূন্য ২ শতাংশ), মিউচুয়াল ফান্ড খাতের ২২ কোম্পানির কাছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৬২ (দশমিক শূন্য ১ শতাংশ), করপোরেট বন্ড খাতের এক কোম্পানির কাছে ৬০ হাজার ৯৭৫, চামড়া খাতের তিন কোম্পানির কাছে ৫৪ হাজার ৬৮৬ এবং পাট খাতের দুই কোম্পানির কাছে ৩০ হাজার ১৯১টি অবণ্টিত শেয়ার রয়েছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর দীর্ঘদিনের অবণ্টিত লভ্যাংশের বিপুল পরিমাণ অর্থ একত্র করে পুঁজিবাজারের উন্নয়নকাজে ব্যবহার করার জন্য সিএমএসএফ গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সঙ্গে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস ২০২১ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। পরে ওই বছরই কোম্পানিগুলোকে এ ফান্ডে অবণ্টিত শেয়ার ও অর্থ জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় বিএসইসি। যার মেয়াদ ছিল চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফায় এ মেয়াদ চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সর্বশেষ তৃতীয় দফায় এ মেয়াদ ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলোকে ফান্ডে শেয়ার ও অর্থ জমা দিতে অনুরোধ জানিয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, ফান্ডের মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না, বরং কোম্পানি আইপিওতে আসার পর থেকে কী পরিমাণ নগদ ও স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে, কার কাছে কী পরিমাণ অবণ্টিত লভ্যাংশ রয়েছে সেটি জানতে নিরীক্ষা করা হবে।


আরও পড়ুন:

বিষয়: