ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের চমৎকার গন্তব্য বাংলাদেশ


নিউজ ডেস্ক
80

প্রকাশিত: ১১ মে ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের চমৎকার গন্তব্য বাংলাদেশ



বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে সুযোগের সুবিধা নিতে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্রের কম্পানিগুলোর আগ্রহ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম এবং বাকিগুলো বিদ্যুৎ, ব্যাংকিং ও টেক্সটাইল খাতে বেশির ভাগ বিনিয়োগ হয়েছে। কাঁচামাল, ভোজ্য তেল, ডিজিটাল কমার্স ও ডিস্ট্রিবিউশন প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়তে পারে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড বাংলাদেশ (এইচএসবিসি) ও ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (ইউএসবিবিসি) যৌথ আয়োজিত ‘ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম : বিল্ডিং অন ফিফটি ইয়ার্স অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দীর্ঘ দ্বিপক্ষীয় সুসম্পর্ক তথা উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের খাতসমূহ, নতুন বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতা প্রদান এবং ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক সম্ভাবনাময় খাতগুলোর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠান ও নৈশ ভোজে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাবসায়িক গোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত ইউএস চেম্বার অব কমার্সের ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল ও শীর্ষস্থানীয় স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতারা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ইকোনমিক করিডরকে আরো সমৃদ্ধ করতে মতবিনিময় করেন। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মো. মাহবুব উর রহমান ও সেভরনের ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এবং ইউএসবিবিসি বোর্ড অব ডিরেক্টরস চেয়ার জে আর প্রায়র অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। পিটার হাস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে সদা সচেষ্ট এবং আমি বিশ্বাস করি আমরা একত্রে দুই দেশের ব্যাবসায়িক সম্পর্ক ও বিনিয়োগকে আরো উন্নত করতে সক্ষম হব। এই মুহূর্তে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ব্যাবসায়িক প্রতিনিধিদলের অবস্থান এটিই প্রমাণ করে যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাইভেট সেক্টর বাংলাদেশে বিনিয়োগে কতটা প্রস্তুত রয়েছে। এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মো. মাহবুব উর রহমান বলেন, ‘বিগত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি চলমান এবং ২০২৬ সাল নাগাদ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে চলেছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি, উদীয়মান সেবা, শিল্প ও ডিজিটাল খাতে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগের ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশ ক্রমেই আকৃষ্ট করে চলেছে। বিশ্বব্যাপী আমাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ও কানেক্টিভিটি নিয়ে এইচএসবিসি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত রয়েছে। ’ অন্য এক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহিরয়ার আলম, বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস প্রমুখ। বৃহৎ করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো কিভাবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাবসায়িক সম্পর্কের উন্নয়নে সর্বদা কাজ করে চলেছে তা আলোকপাত করার লক্ষ্যে ‘ইউএস অ্যান্ড বাংলাদেশ অ্যাট ফিফটি : ড্রাইভিং এন অ্যামবিশাস ইকোনমিক এজেন্ডা’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনারও আয়োজন করা হয়। ওই আলোচনায় অংশ নেন কেভিন গ্রিন, কান্ট্রি হেড অব হোলসেল ব্যাংকিং, এইচএসবিসি বাংলাদেশ; রবি অরোরা, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, গ্লোবাল পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ইন্দো-প্যাসিফিক পলিসি অপারেশনস, মাস্টরকার্ড অ্যান্ড বোর্ড মেম্বার; এলেনা বুটারোভা, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, মেটলাইফ; সাইমন মিলনার, ভাইস প্রেসিডেন্ট, পাবলিক পলিসি, এশিয়া-প্যাসিফিক, মেটা।

আরও পড়ুন:

বিষয়: