ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

এশিয়ার দেশগুলো তেলের মজুদ বাড়াচ্ছে, বাংলাদেশ এখনই কিনছে না


নিউজ ডেস্ক
68

প্রকাশিত: ০৮ মার্চ ২০২২
এশিয়ার দেশগুলো তেলের মজুদ বাড়াচ্ছে, বাংলাদেশ এখনই কিনছে না



বিশ্ববাজারে টানা দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এশিয়ার দেশগুলো তেলের মজুদ বাড়াচ্ছে। তবে বাংলাদেশ এখনই বাড়তি মজুদের জন্য তেল কিনছে না। আগামী জুন পর্যন্ত থাকা ক্রয়সূচি অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। তবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে বাংলাদেশের জন্য তেলের সরবরাহ ঝুঁকি ও খরচের বোঝা অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে। সৌদি আরবের পর সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল রপ্তানি করে রাশিয়া। কিন্তু যুদ্ধের অভিঘাতে নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে দেশটির ব্যবসা-বাণিজ্য। এ অবস্থায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশ জরুরি মজুদের জন্য সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে আরো বেশি তেল আমদানির চেষ্টা চালাচ্ছে। গতকাল সোমবার সকালে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দর প্রতি ব্যারেল এক লাফে ১৩৯ ডলারে উঠে যায়। যদিও দিন শেষে তা ১২৫.১১ ডলারে স্থির হয়েছে। এক দিনে দাম বেড়ে যায় ৭ শতাংশের বেশি। আর ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট তেলও প্রায় ৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল হয় ১২২.৬৮ ডলার। যেভাবে বাড়ছে, তাতে খুব দ্রুতই ১৫০ ডলার ছোঁবে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের উদ্ধৃতি দিয়ে ব্লুমবার্গ জানায়, মে মাসে জ্বালানি তেলের যেসব চালান বাজারে আসবে সেগুলোর ব্যাপারে এশিয়ার ক্রেতারা সৌদি কম্পানি আরমকোর কাছে খোঁজখবর নিচ্ছে। এপ্রিলে যেসব চালান আসবে সেগুলোর চাহিদা এরই মধ্যে বেড়ে গেছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেসব চালানের কার্গো ঠিক করা হবে। ব্যবসায়ীদের অশঙ্কা, রাশিয়ার তেলের অনুপস্থিতিতে ইউরোপের দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেল, নর্থ সি এবং পশ্চিম আফ্রিকার তেল ক্রয় করবে। ফলে এশিয়ার বাজারে সরবরাহ স্বল্পতা তৈরি হতে পারে। এ অবস্থায় এশিয়ার ক্রেতারা আরব দেশগুলো থেকে আরো বেশি পরিমাণ জ্বালানি তেল কিনে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। জ্বালানি তেল সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে আমদানি বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশের পরিকল্পনা জানতে চাইলে বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের জ্বালানি তেল আমদানির জুন পর্যন্ত শিডিউল করা আছে। সেই অনুযায়ী আমদানি হচ্ছে এবং সরবরাহও করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় দ্বিগুণ। দামের এই ঊর্ধ্বগতির মধ্যে শিডিউলের বাইরে অতিরিক্ত তেল কিনে রাখা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ’ বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের তেল রাখার আনলিমিটেড (পর্যাপ্ত) জায়গাও নেই। তাই রাতারাতি মজুদ বাড়ানোর সুযোগ কম। বর্তমানে আমাদের এক মাস ১৫ দিনের জ্বালানি তেল রাখার ব্যবস্থা আছে। ধারণক্ষমতা বাড়ানোর কাজ চলছে। দুই বছর পর ধারণক্ষমতা আরো ১৫ দিন বেড়ে দুই মাসের উপযোগী হবে। ’ বিপিসির এই অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের যতটুকু মজুদের জায়গা আছে সেটুকু আমাদের রাখা দরকার। কারণ সামনে দাম আরো বাড়তে পারে। ’ ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, এশিয়ার অন্তত চারটি দেশ মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল আমদানি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তারা আগামী মে মাসে বাড়তি তেল নিতে চায়। তারা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির শর্ত কাজে লাগাবে কিংবা খোলাবাজার থেকে কিনবে।

আরও পড়ুন:

বিষয়: