ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতার সুরাহা চায় সিএন্ডএফ এজেন্টরা


নিউজ ডেস্ক
65

প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতার সুরাহা চায় সিএন্ডএফ এজেন্টরা



আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে বহুল আলোচিত হারমোনাইজড সিস্টেম (পণ্য পরিচিতি বা এইচএস কোড) সংক্রান্ত জটিলতার কারণে শুল্কায়নে মিস ডিক্লারেশন সংক্রান্ত ধারায় বড় ধরনের জরিমানার বিষয় উল্লেখ করে তার আইনি সমাধান চেয়েছেন ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টের (সিএন্ডএফ) প্রতিনিধিরা।

রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এ বিষয়ে কথা বলেন সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা। এ সময় বিদ্যমান কাস্টমস আইনের ৩২ ধারা উল্লেখ করে মিস ডিক্লারেশনেরর বিষয়টি তুলে ধরে সংগঠনের এক নেতা বলেন, এই ধারায় 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করা দরকার।

নেতারা বলেন, এতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিষয়টি নিয়ে আইনে সুনির্দিষ্টভাবে বলা না থাকায় কাস্টমস কর্মকর্তাদের ইচ্ছার উপর তা নির্ভর করে। দেখা গেল, এনবিআর দেওয়া একটি সুবিধার আওতায় কেউ পণ্য আমদানি করলে, সেটি ভিন্ন এইচএস কোডে মূল্যায়ন করা হয়। তখন আমদানিকারক সরকারের দেওয়া সুবিধা তো পায়ই না, মিস ডিক্লারেশনের ধারায় পড়ে উল্টো ২০০% জরিমানা দিতে হয়। এ থেকে পরিত্রাণ দরকার।

এইচএস কোড নিয়ে হয়রানি ও জটিলতার কথা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন আমদানিকারকরা। অভিযোগ রয়েছে, বিচিত্র ধরণের পণ্য, কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে এইচএস কোড ও কাস্টমস ভ্যালুয়েশন ‍নিয়ে কাস্টমস বিভাগের কর্মকর্তাদের হাতে স্বেচ্ছাধীন ( ডিসক্রেশনারি) ক্ষমতা থাকায় জটিলতার মুখে পড়ছেন আমদানিকরা। এতে হয় বাড়তি শুল্ক গুনতে হচ্ছে, নয়তো কর্মকর্তাদের 'খুশি' করতে হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কথা বলে আসছেন পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি অন্যান্য খাতের আমদানি-রপ্তানিকারকরা।এনবিআর সদস্য মাসুদ সাদিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে তাদের প্রস্তাব তুলে ধরেন। এ সময় এনবিআরের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন বাজেটে তাদের কোম্পানির বিদ্যমান কর্পোরেট করহার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০%, ট্যাক্স ডিডাকশন এট সোর্স (টিডিএস) ২% ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের মূলধনী যন্ত্রপাতি ও খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি শুল্কমুক্ত করার প্রস্তাব দেন।

বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন স্ক্র্যাপ ভ্যাসেল আমদানির শুল্ক এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনাসহ আরো তিনটি প্রস্তাব তুলে ধরে।বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন তাদের এজেন্সি কমিশনের টিডিএস বিদ্যমান ৮% থেকে কমিয়ে ৫% করা, কর্পোরেট করহার কমানো, ফ্রেইট ট্যাক্সে সমতা আনা, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কয়েকটি ট্যারিফ আইটেমে ভ্যাট মওকুফ করা এবং আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন সহ একাধিক সংগঠনের নেতারা তাদের প্রস্তাব তুলে ধরেন।


আরও পড়ুন:

বিষয়: