ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতিবিদ না হলেও ভালো উপদেশ দেন : সালমান এফ রহমান


নিউজ ডেস্ক
68

প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারী ২০২২
প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতিবিদ না হলেও ভালো উপদেশ দেন : সালমান এফ রহমান



প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান সালমান ফজলুর রহমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনীতিবিদ না হলেও তিনি এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে ভালো উপদেশ দিয়ে থাকেন। তিনি অনেক দিন ধরে ব্যাংকিং খাতের উচ্চ সুদের হার প্রয়োগের ফলে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করে আসছিলেন আমাদের সাথে। উচ্চ সুদের হার অর্থনীতির জন্য ভালো না। সুদের হার কিভাবে কমানো যায় তা নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময় আমাদের সাথে কথা বলেছেন। সুদের হার কমানোর জন্য ব্যাংকিং খাতকে অনুরোধ করছিলেন। কিন্তু ব্যাংকিং খাত তার অনুরোধের সাড়া দিচ্ছিলো না। অবশেষে তিনি ব্যাংকের সুদের হার ১৭/১৮ শতাংশ কমিয়ে ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দেন। আমরা সেসময় মনে করেছিলাম এটা ভালো হবে না। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও সেসময় দেশের অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব কেমন প্রভাব পড়বে তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন বাস্তবতা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ওই দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। প্রধানমন্ত্রী এরকম অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারি রাজধানীর নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাল্টিপারপাস হলরুমে বেক্সিমকো গ্রিণ- সুকুক আল ইসতিসনা’এ বন্ডের লেনদেনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে করপোরেট হতে হবে। এখনো আমাদের দেশে ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে ব্রোকার মনে করা হয়। যে কারনে বিনিয়োগকারীরা নিজেরাই পোর্টফোলিও ম্যানেজ করে। এটা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর করা কথা। কিন্তু এ জন্য ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে সত্যিকারের ইনস্টিটিউট হতে হবে এবং তাদের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা সৃষ্টি করতে হবে। তিনি আরও বলেন, এফডিআর এর সুদ হার এখন ৬ শতাংশের নিচে। তবে আমাদের সুকুক বন্ড থেকে ৯ শতাংশ হারে দেওয়া হবে। এ কারনে বন্ডটি নিয়ে খুবই আশাবাদি ছিলাম। কিন্তু পাবলিকদের কাছ থেকে সেভাবে সাড়া পাইনি। তবে প্রাতিষ্ঠানিকদের অংশগ্রহন ভালো ছিল। পাবলিকদের সাড়া না পাওয়ার পেছনে সুকুক বন্ডটির বিষয়ে ভালোভাবে তুলে ধরতে না পারা কারন হিসেবে কাজ করেছে বলে আমার মনে হয়। অথচ এফডিআরওয়ালাদের জন্য সুকুক বন্ডটি খুবই আকর্ষনীয়। প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, আমি যেখানেই যাই সেখানেই শেয়ারবাজারের বড় দুটি সমস্যার কথা বলি। এরমধ্যে একটি কাঠামোগত সমস্যা। কারন আমাদের বাজার শুধুমাত্র ইক্যুইটিভিত্তিক বাজার, ডেবট বলতে পারেন নেই। এটি একটি বড় দূর্বলতা। তবে নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ডেবট মার্কেটের উন্নয়নে কাজ করছে। বিশ্বের অন্যন্য দেশে ইক্যুইটি ও ডেবট মার্কেট রেশিও সমান সমান বলে জানান তিনি। অনেক দেশে ডেবট মার্কেটের আকার ইক্যুইটির চেয়ে বেশি। তাই আমাদের দেশে ডেবট মার্কেটের আকার বাড়াতে হবে। শেয়ারবাজারের দ্বিতীয় বড় সমস্যা হিসেবে তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ম্যাচিউরড বাজারে প্রাতিষ্ঠানিকদের লেনদেনের পরিমাণ বেশি হয় এবং রিটেইলারদের কম হয়। এমনকি সেখানে রিটেইলাররা ফান্ডের মাধ্যমে লেনদেন করেন। কিন্তু আমাদের দেশে ঠিক উল্টো। এ কারনে দেশের শেয়ারবাজারে উত্থান-পতন হয় বেশি। আগামিতে সরকারি বড় বড় প্রজেক্টগুলোতে ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে বন্ডের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। অনুষ্ঠানে ডিএসই’র চেয়ারম্যান মো: ইউনুসুর রহমান সভাপতিত্ব করেন।

আরও পড়ুন:

বিষয়: