ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

বর্তমান সরকার খুবই ব্যবসা বান্ধব : বিএসইসি চেয়ারম্যান


নিউজ ডেস্ক
60

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারীফেব্রুয়ারি ২০২১
বর্তমান সরকার খুবই ব্যবসা বান্ধব : বিএসইসি চেয়ারম্যান



বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার খুবই ব্যবসা বান্ধব। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নির্দেশনা হলো নিয়ম নীতির মধ্যে ব্যবসাকে অগ্রাধিকার দিয়ে জনগনকে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা ও সহযোগিতা প্রদান করা৷ গত ১ বছরে বিএসইসি সর্বোচ্চ সংখ্যক ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড ও আইপিও অনুমোদন দিয়েছে৷ এছাড়াও শেয়ারবাজার ওভার ভ্যালুড হচ্ছে৷ একই সাথে সূচক বাড়ছে৷ দেশের অর্থনীতি বড় হচ্ছে, সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুঁজিবাজারকে আমরা যদি এগিয়ে নিতে না পারি তাহলে এই দেশের উন্নতি হবে না। গত মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের উদ্যোগে বাজার উন্নয়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে “কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সম্ভাবনা ও সুযোগ” শীর্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনার অধ্যাপক শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান। তিনি আরও বলেন, শেয়ারবাজার হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদী অর্থ সংগ্রহের জায়গা৷ আর ব্যাংক হচ্ছে স্বল্প মেয়াদী ঋণের জায়গা৷ ব্যাংকে গ্রাহকগন সর্বোচ্চ ৩ বছরের জন্য এফডিআর রাখে৷ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানকে ১৫ বছরের ঋণ দেয়৷ গ্রাহক যদি প্রয়োজনে টাকা তুলতে আসলে ব্যাংক তারল্য সমস্যায় পড়ে৷ এছাড়া পৃথিবীতে কম ব্যক্তিই আছে যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে নিয়মিত পরিশোধ করতে পারে৷ আমরা শেয়ার বাজারকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। শেয়ারবাজারকে অর্থ যোগানের নির্ভরযোগ্য উৎসে রূপান্তর করতে চাই। দীর্ঘ মেয়াদী অর্থ যোগানের জন্য আমরা শেয়ারবাজারে বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আসছি৷ অনুষ্ঠানের শুরতেই স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক আমিন ভূইয়া৷ স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, আপনারা লক্ষ করেছেন ২০২০ সালের মে মাস থেকে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার পরিবর্তিত হচ্ছে। এই সময়ে পুঁজিবাজারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ডিএসইতে ও ভাল কিছুর জন্য পরিবর্তন হচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে কোম্পানিগুলোর সাথে কথা বলবো৷ তাদের থেকে শুনবো এবং পুঁজিবাজরে তালিকাভুক্ত হতে তাদের যথাসম্ভব গাইড দিবো এবং সহায়তা করবো৷ যাতে তারা দ্রুত তালিকাভুক্ত হতে পারে। আমি সকলের মঙ্গল কামনা করে আমার বক্তব্য শেষ করছি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএসইসি’র কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা এ বছর স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী পালন করছি। আমরা যখন স্বাধীন হয়েছিলাম তখন ৯টি তালিকাভুক্ত কোম্পানি ছিল। যারসম্মিলিত মূলধন ছিল ১৩ কোটি টাকা। কত সামান্য মূলধন নিয়ে আমরা শুরু করেছিলাম। আজ ডিএসই’র মার্কেট ক্যাপ প্রায় ৬৫ বিলিয়ন ডলার। আজ ডিএসইতে ৩০০ এর বেশি কোম্পানি তালিকাভুক্ত আছে। তাই আমাদের হতাশ হওয়ার সুযোগ নেই। উদ্যোক্তারা অত্যন্ত সম্মানিত গোষ্ঠী। আমরা সরকারী কর্মচারী হিসেবে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী আপনাদের সেবা প্রদানের চেষ্টা করব। আমরা উদ্যোক্তাদের নিয়ম অনুযায়ী সাহায্য করতে চাই। সমাপণি বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সভাপতি ডিএসই’র চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুসুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে রেজিষ্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে প্রায় ২ লক্ষাধিক কোম্পানি নিবন্ধিত রয়েছে৷ এর মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার কোম্পানি আয়কর দেয়৷ পক্ষান্তরে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত আছে মাত্র ৩৪৭টি কোম্পানি৷ আমরা দেশের বাহিরে কয়েকটি রোড শো করেছি, যাতে বিদেশি কোম্পানিগুলো দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে৷ আমাদের দেশে অনেক বড় বড় গ্রুপ অব কোম্পানিজ আছে৷ পুঁজিবাজারে কোম্পানিসমূহ তালিকাভুক্ত হলে কি কি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় তা আরও বিশদভাবে শিল্পদ্যোক্তাদের কাছে উপস্থাপন করা হবে৷ সেই লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনে টিম গঠন করে এ ধরনের সভা সেমিনার অব্যাহত রাখব বিভিন্ন গ্রুপ অব কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ডিএসই’র এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান একই সাথে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের কোম্পানি সমুহ পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন৷ সম্মেলনে মূল প্রতিপাদ্য বিষয় Capital Market of Bangladesh- Prospects and Opportunities for Corporate Entities৷ এ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড-এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম সাইফুর রহমান মজুমদার৷ পরে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ডেফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান, আব্দুল মোমেন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. এস. এম মাঈনুদ্দিন মোনেম, র‌্যাঙ্কস গ্রুপের পরিচালক মিসেস রোমানা রউফ চৌধুরী, বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক মোঃ সাইফুর রহমান, মোহাম্মদ রেজাউল করিম এবং ডিএসই’র পরিচালক মো. শাকিল রিজভী৷​

আরও পড়ুন:

বিষয়: