ঢাকা রবিবার
০৫ মে ২০২৪
২৭ এপ্রিল ২০২৪

রপ্তানিকারকদের জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত সুবিধা বাড়ানো হলো


নিউজ ডেস্ক
190

প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২১
রপ্তানিকারকদের জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত সুবিধা বাড়ানো হলো



রপ্তানি আয় ফিরিয়ে আনা ও আমদানী ব্যয় পরিশোধ সহজ করা সংক্রান্ত নীতি সহায়তার সময়সীমা আরো তিন মাস বাড়ানো হয়েছে। এতে কোভিডের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সহজ হবে বলে মনে করেন রপ্তানিকারকরা। রবিবার রপ্তানিকারকদের জন্য সুবিধা বাড়ানো সংক্রান্ত সার্কুলার ইস্যু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ (ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট)। করোনার প্রভাব মোকাবেলায় গেল বছর বাড়ানো এসব সুবিধার মেয়াদ ৩১ মার্চ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে রপ্তানি গন্তব্যের দেশগুলোতে কোভিড পরিস্থিতি পুরোপুরি উন্নতি না হওয়ায় সুবিধাগুলো ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।

একজন রপ্তানিকারক পণ্য রপ্তানির পর ১২০ দিনের মধ্যে রপ্তানি আয় দেশে নিয়ে আনতে বাধ্য। কিন্তু কোভিডের ফলে গেল বছর এই সুবিধা বাড়িয়ে ২১০ দিন করা হয় এবং চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই সুবিধা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই সুবিধা ৩০ জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

আমদানির ক্ষেত্রে ব্যয় পরিশোধের জন্য ১৮০ দিনের বাধ্যবাধকতা আছে। তবে পণ্য সরবরাহকারী রাজি থাকলে এই সময় আরো ১৮০ দিন অর্থাৎ মোট ৩৬০ দিন সময় পাওয়া যাবে। গেল বছরের এই সুবিধার মেয়াদও ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড-ইডিএফ) থেকে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ৩ মাসের জন্য ঋণ সুবিধা বাড়িয়ে ৬ মাস করা হয়েছিল। এই সুবিধাও ৩০ জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

এই সব সুবিধার সময়সীমা বাড়ানোয় রপ্তানিখাত উপকৃত হবে বলে মনে করেন নিটওয়্যার রপ্তানিকারকদের সংগঠন-বিএকেএমইএ'র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি মনে করেন কোভিডের কারণে অনেক বিদেশি ক্রেতাই সঠিক সময় আমাদের পাওনা পরিশোধ করতে পারছে না। এতে আমাদেরও আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে সমস্যায় পড়তে হয়।

সময়সীমা বাড়ানোয় আন্তজার্তিক লেনদেন অনেক সহজ হবে। এতে রপ্তানিকারকরা বাড়তি ঝামেলা থেকেও মুক্ত থাকবেন বলে মনে করেন এই তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক। তিনি বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় জুনের মধ্যে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে বলে তিনি আশাবাদী। যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয় সেক্ষেত্রে বাস্তবতা বিবেচনায় সুবিধা আবার বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।


আরও পড়ুন:

বিষয়: