ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

যাত্রা শুরুর পর থেকেই দেশের পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের উন্নয়নে কাজ করছে এনার্জিপ্যাক।


নিউজ ডেস্ক
103

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
যাত্রা শুরুর পর থেকেই দেশের পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের উন্নয়নে কাজ করছে এনার্জিপ্যাক।



১৯৮২ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকেই দেশের পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের উন্নয়নে কাজ করছে এনার্জিপ্যাক। তিন যুগের সফলতায় বর্তমানে এ খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসাবে মনে করা হয় একে। নয়টি প্রতিষ্ঠানসহ বর্তমানে গ্রুপ অব কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে এনার্জিপ্যাক; প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত রয়েছে ৫ হাজারের বেশি কর্মী। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পাশাপাশি এলএনজি নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন রশীদ। প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন ব্যবসায়ীদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশেরও (আইবিএফবি)। সম্প্রতি এনার্জিপ্যাকের ব্যবসা ও দেশের অর্থনীতি নিয়ে  কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আব্বাস উদ্দীন নয়ন।

এনার্জিপ্যাকের বর্তমান ব্যবসার ভিত্তি ও সাসটেইনিবিলিটি নিয়ে এ উদ্যোক্তা বলেন, "এনার্জিপ্যাক এমন পণ্য উৎপাদন করছে যার প্রয়োজন সভ্যতার শেষ পর্যন্ত থাকবে। মানুষ যতদিন থাকবে আমাদের ব্যবসাও ততদিন মজবুত ভিত নিয়ে থাকবে। "বিদ্যুৎ ও বিদ্যুতের ইলেকট্রিক সামগ্রীর চাহিদা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। আপগ্রেডেশন হয়ে জেনারেটরের চাহিদাও বাড়ছে। পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত কাজ লাগবে এটি। এসব কারণে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগই করেছি আমরা। আমাদের প্রতিটি বিনিয়োগই এমন"। একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী কেন এনার্জিপ্যাককে বেঁচে নেবে এ প্রসঙ্গে হুমায়ুন রশীদ বলেন, "যিনি বিনিয়োগ করবেন, তিনি নিশ্চয়ই দেখতে চাইবেন যে লভ্যাংশ পাবেন কিনা? আমি যদি লভ্যাংশ পাই, তাহলে বিনিয়োগকারীরাও লভ্যাংশ পাবেন। আর আমি যদি না পাই, তাহলে তারাও পাবেন না। আমাদের যে স্বপ্ন রয়েছে, সেটি বাস্তবায়নের জন্য অনেক বেশি খাটতে হবে। আমাদের বিনিয়োগটা অনেক স্থায়ী। স্বল্প মেয়াদের পরিবর্তে একটা স্থায়ী কিছুর চিন্তা করছি আমরা। একজন বিনিয়োগকারী যখন বিনিয়োগ করবেন, তখন তার বিশ্বাস রাখা উচিত যে বাংলাদেশে ইলেকট্রিক্যাল ব্যবসা টেকসই হবে। তারা এমন একটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করছেন, যেটি প্রবৃদ্ধির মধ্যে রয়েছে। আমরা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে একাত্মতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। শেয়ারহোল্ডাররা আমাদের অংশীদার। আমার প্রতি তাদের আস্থা থাকতে হবে। তাদের প্রতিও আমার আস্থা থাকতে হবে। বিনিয়োগের সঙ্গে রিটার্নে যে সম্পর্ক, সেটি যাতে বজায় থাকে সেটি আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে"।

২০১৯ সালের শেষ দিকে আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। এ টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে কোম্পানিটি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে কোম্পানিটির টার্নওভার ৮১৩ কোটি টাকা প্রায়। আগের বছর ছিল ৯০০ কোটি টাকার বেশি। করোনার কারণে গেল বছর বিক্রি কিছুটা কমেছে।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি ও ব্যবসা সম্প্রসারণ নিয়ে হুমায়ুন রশীদ বলেন, "পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানিটা আমরা শেয়ারবাজারে নিয়ে এসেছি। এ কোম্পানিটির চারটি রেভিনিউ ডিপার্টমেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে একটি রয়েছে আইপিবি কোম্পানি। যেটার নাম এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেনচার লিমিটেড। তবে এটার শতভাগ মালিকানা আমাদের পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড"। "আমরা সম্প্রতি এলপিজিতে বিনিয়োগ করেছি। এটা একটু চ্যালেঞ্জিং। এখানে অনেক কোম্পানি চলে আসছে। অনেকের মধ্যে ব্যবসা করতে গেলে বেশি করে বিনিয়োগ করতে হবে। আমরা এরই মধ্যে ৬০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছি। আরও বিনিয়োগ করতে চাই। খুলনার দাকোপের চুনখালিতে নিজস্ব টার্মিনাল রয়েছে আমাদের। এতে পাঁচ হাজার টনের স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিজ রয়েছে। দেশব্যাপী আমাদের বিস্তৃত ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক রয়েছে। জি গ্যাস ব্র্যান্ডের প্রতি গ্রাহকের গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল কোম্পানি হিসেবে আমাদের সক্ষমতা অন্যদের চেয়ে বেশি"। "আমাদের মূল জ্বালানি খাতে। জি গ্যাসের জন্য আমরা রূপগঞ্জে একটি ফিলিং স্টেশন করছি। এছাড়া সেখানে আমরা বেশকিছু লজিস্টিক ইকুইপমেন্টে বিনিয়োগ করব। এতে আমাদের সরবরাহ ব্যয় কমে আসবে। সারাদেশে বেশ কিছু স্টেশন স্থাপন করতে হবে। এতে গ্রাহকের দোরগোড়ায় এলপিজি সরবরাহে আমাদের সক্ষমতা আরো বাড়বে। তবে এজন্য আরো বিনিয়োগও করতে হবে"। তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির টার্নওভারের তুলনায় ঋণ বেশি বলে মনে করছে বিনিয়োগকারীরা। এ বিষয়টি বাজারে নেতিবাচক হিসাবে দেখা হলেও এটাকে স্বাভাবিক হিসাবে মনে করছেন হুমায়ুন রশিদ।

"আমাদের ঋণটা ইনভেস্টমেন্ট ফর্মে রয়েছে। আমরা এখন বিনিয়োগ পর্যায়ে রয়েছি। আমরা যা ঋণ করেছি তার পুরোটাই বিনিয়োগ হয়েছে। বেশি বিনিয়োগ ভবিষ্যতে বেশি মুনাফা সৃষ্টি করবে"গত তিন চার বছর ধরে আমরা বিনিয়োগ করেছি। আমাদের এসব বিনিয়োগ দীর্ঘ সময়ের জন্য। একটি সময় পর এ বিনিয়োগের বিপুল পরিমাণ সুফল পাওয়া যাবে। এখনই আমাদের রিটার্ন আসা শুরু হয়েছে। এটি দিনকে দিন বাড়বে।" নিজের কোম্পানির কমপ্লায়েন্স বর্ণনা করতে গিয়ে হুমায়ুন রশীদ বলেন, "আমাদের কোনো আত্মীয় কোম্পানিতে ডিরেক্টর হিসাবে নেই। এখানকার কর্মচারীবৃন্দ এবং স্পন্সরই শেয়ারহোল্ডার। শেয়ারবাজারে যারা বিনিয়োগ করেছেন তারাও এখন শেয়ারহোল্ডার"। "আমাদের বোর্ড মেম্বারদের মধ্যে চারজনের শেয়ারবাজার সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। আমরা শুধু উৎপাদনে বিশ্বাস করি। শেয়ার নিয়ে কিছুই ভাবি নি। এখন কোম্পানি তালিকাভুক্তির কারণে এটা নিযে ভাবতে হচ্ছে। এবারই প্রথমবারের মতো বিও একাউন্ট করেছি আমি"। ব্যবসা শুরু থেকে বর্তমান অবস্থানে পৌঁছানো নিয়ে এ উদ্যোক্তা বলেন, "প্রথমে ইলেকট্রিক্যাল পণ্য ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু হয়। তবে ১৯৯৫ সালে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের নামে ডিজেল জেনারেটরের ট্রেডিং ব্যবসা শুরুর মাধ্যমে বিস্তৃত হতে থাকে আমাদের ব্যবসা। বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির জন্য ইপিসি কন্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ করেছি। এ সময় ইলেকট্রনিক পণ্যের পাশাপাশি ডিজেল ও গ্যাস জেনারেটর; পাওয়ার প্লান্ট কনস্ট্রাকশন, অপারেশন, মেইনটেন্যান্স ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগ করি আমরা"। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে গ্ল্যাড ব্র্যান্ডের জেনারেটর দেশে উৎপাদন শুরু করেছি। জ্যাক ব্র্যান্ডের ট্রাক দেশে আমদানি করতাম আমরা। পরবর্তী সময়ে সেটি দেশেই সংযোজন শুরু করি। এ বছর থেকে ট্রাকের পাশাপাশি ডাবল কেবিনের পিকআপ সংযোজন শুরু করেছি। স্টিলপ্যাক নামে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেটি প্রি ফ্যাব্রিকেটেড স্টিল স্ট্রাকচারের ব্যবসা করছে। আমরা স্বল্পমূল্যে আবাসন নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে কাজ করছি। আগামী বছরের শেষদিকে এটি আপনারা দেখতে পাবেন। আমাদের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হচ্ছে জি গ্যাসে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এলপিজি বোতলজাত করে বিপণন করছে জি গ্যাস। এরই মধ্যে এতে আমাদের প্রায় ৬০০ কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ হয়ে গেছে। সামনে আরো বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশে এলপিজি পেনিট্রেশন এখন ৩২ শতাংশ। ভারতে এটি ৯০ শতাংশ। বাংলাদেশে বর্তমানে এলপিজির বাজার ১০ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে। অথচ এটি ২০১৪-১৫ সালের দিকেও মাত্র দুই থেকে আড়াই লাখ টন ছিল। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি দেশের যেসব এলাকায় প্রাকৃতিক গ্যাস নেই সেখানকার মানুষ তাদের প্রয়োজন মেটাতে এলপিজি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। ফলে সামনের দিনগুলোতে দেশের এলপিজির বাজার আরো বাড়বে"।

তিনি আরও জানান, "আপনি যদি আমাদের ব্যবসার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা বলেন তাহলে বলব, আমাদের ব্যবসায় তুলনামূলক ঝুঁকি কম। কারণ আমরা ইলেকট্রনিক পণ্য, জেনারেটর এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যবসা করছি। এগুলোর প্রয়োজন কিন্তু সবসময়ই থাকবে। এক্ষেত্রে আমরা যে বিনিয়োগ করেছি, সেগুলোর ফল আসা শুরু হয়েছে মাত্র। এগুলোর পূর্ণাঙ্গ সুফল সামনের দিনগুলোতে প্রতিফলিত হবে"। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেশের ব্যবসা পরিবেশ ও বিনিয়োগ নিয়ে কাজ করছেন এ উদ্যোক্তা। বিদেশী বিনিয়োগ ও বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগীতায় টিকে রপ্তানি মার্কেটে অবস্থানের জন্য বাণিজ্যবান্ধব পরিবেশ একান্ত জরুরি বলে মনে করছেন তিনি। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ১৯০টি দেশের মধ্যে ১৬৮তম স্থান অর্জন করেছে, যা দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন। এ জন্য ব্যবসা সহজীকরণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।  "আমাদের দেশে অপারেশন এবং নন অপারেশনাল কসট (ব্যয়) অনেক বেশি। ট্রান্সপোর্ট কসট বেশি হওয়ায় উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে ম্যানুফ্যাকরার্সদের। ট্রাক কেনার সময় উচ্চসুদে ঋণ নিতে হয় ক্রেতাকে। ফলে ট্রাক ভাড়াও বেশি দিতে হয়। রাস্তায় জ্যামের কারণে সময় ও জ্বালানী খরচ বেড়ে যায়। ফলে ট্রাকে পণ্য পরিবহন খরচ বেশি। অন্যদিকে প্রতিযোগী দেশগুলো ট্রেন ও নদীপথে পণ্য পরিবহণ করছে। তাদের খরচ আমাদের চেয়ে অনেক কম।  এসব বিষয়গুলো নিযে আমাদের সরকারকে ভাবতে হবে। বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে হবে। নিবন্ধনের জন্য ১৫-২০ জায়গায় না ঘুরিয়ে একটি ওয়ান ডোর ব্যবস্থা করতে হবে"। রপ্তানি বাড়াতে হলে সবার আগে বৈশ্বিক মার্কেট সম্পর্কে গবেষণা করে বিভিন্ন দেশে আমাদের অ্যাম্বাসিগুলোকে কাজে লাগাতে হবে বলে মনে করেন তিনি।  উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, "পোল্যান্ড প্লাস্টিকের বোতল উৎপাদন করছে। কিন্তু বোতলের ছিপির উৎপাদন তারা করছে না। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশী কোম্পানিকে এ কাজের জন্য সুযোগ তৈরি করে দেয়ার দায়িত্ব নিতে হবে বাংলাদেশ অ্যাম্বাসিকে"।

দেশের শিল্পায়নোর জন্য শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান পদ্ধতিটি উপযুক্ত নয় বলে মনে করেন এ উদ্যোক্তা। দেশে ব্যবসা উন্নয়নের জন্য শিক্ষা ব্যবসাকে একটি সমস্যা বলে মনে করছেন হুমায়ুন রশীদ।তিনি বলেন, ''ইতিহাস, সাহিত্য, দর্শন, রাষ্ট বিজ্ঞানের মতো বিষয়ে অল্প সংখ্যক বিশেষজ্ঞ দরকার। এখানে নির্ধারিত কিছু লোক পড়াশোনা করে গবেষণা করবে। আর অধিকাংশ মানুষেরই পড়া উচিত টেকনিক্যাল বা কারিগরি বিষয় নিয়ে। অথচ আমাদের দেশে উল্টো।

ফলে যেখানে বেশি লোক দরকার, বিশেষজ্ঞের দরকার সেখানেই অভাব। উদাহরণ হিসাবে যদি বলি, আমাদের দেশের মূল শিল্প গার্মেন্টস। এখানে বিপুল পরিমাণ লোকের কর্মসংস্থান। অথচ তৈরি পোশাকে স্পেশিয়ালিস্ট তৈরির জন্য আমাদের দেশে খুব বেশি প্রতিষ্ঠান নেই। এখানে মিড রেঞ্জের যেসব টেকনিশিয়ান  দরকার তা আমাদের দেশে হচ্ছে না। ভারত এবং শ্রীলঙ্কা থেকে প্রচুর লোকজন এসে আমাদের দেশে চাকরি করছে"। "টেকনিক্যাল শিক্ষার পরিবর্তে আমরা শুধু ডিগ্রী দিচ্ছি। অথচ উন্নত দেশগুলোর শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই কারিগরি, বৃত্তিমূলক ও পেশাভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষিত। এমনকি এশিয়ার দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা ইত্যাদি দ্রুত উন্নয়নশীল দেশেও কর্মমুখী শিক্ষা যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়েছে",বলেন হুমায়ুন রশীদ।


আরও পড়ুন:

বিষয়: