ঢাকা শনিবার
২৭ এপ্রিল ২০২৪
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১

‘মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক’


নিউজ ডেস্ক
85

প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারী ২০২১
‘মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক’



মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান : প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসছে নতুন প্রজন্মের অন্যতম সফল এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকটির ম্যানেজমেন্টসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারিরা দক্ষতা ও সচ্ছতার সাথে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। খুব অল্প সময়েই গ্রাহকদের আস্থা আর্জন করতে সক্ষম হয়েছে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জাফর ইকবাল সম্প্রতি মতিঝিলে তার কার্যালয়ে স্টক টাইমসকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমান ম্যানেজমেন্টের নেতৃত্বে ব্যাংকটির কর্মকর্তাবৃন্দ দেশব্যাপী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ব্যাংকটি নানাবিধ সেবার পরিধি বাড়িয়ে ইতোমধ্যে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। কোম্পানির এই দক্ষ ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, দক্ষ ও উদ্ভাবনী ব্যাংকিং পরিষেবা প্রদান, আমানতের স্বার্থ রক্ষা ও শেয়ারহোল্ডারদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক। পুজিঁবাজারে তালিকাভূক্ত হতে পারলে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের দিকটা সুনজরে দেখবে। তাছাড়া তালিকাভূক্ত হওয়ার পর ব্যাংকটির কার্যক্রম আরও প্রসারিত হবে। কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে ও ব্যবসা সম্প্রসারিত হবে। ফলে টার্নওভার বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি মুনাফাও বৃদ্ধি পাবে। এরফলে সহজেই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মনের আশা আকাঙ্খা পূরণ করতে সক্ষম হবে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক; এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। মো. জাফর ইকবাল সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নির্দিধায় ব্যাংকটিতে বিনিয়োগ করতে বলেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যা্য়, বর্তমানে ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৫’শ ৮২ কোটি ৫১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮০ টাকা। আইপিও পরবর্তী কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন হবে ৭’শ দুই কোটি ৫১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮০ টাকা। ব্যাংকটির সূত্রমতে,  প্রতিষ্ঠানটি ২০১৩ সালে ২ এপ্র্রিল যাত্রা শুরু করে। ১১ অক্টোবর ২০২০ হিসাব অনুসারে ব্যাংকটির সারাদেশে ৭৭টি ব্র্যাঞ্চ রয়েছে। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর আরও ৯টি ব্র্যাঞ্চ যুক্ত হয়। সে হিসেবে বর্তমানে ৮৬ টি ব্র্যাঞ্চ রয়েছে সারাদেশে। দেশব্যাপী এটিএম বুথ রয়েছে ৪১টি; যা ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর এর হিসাব অনুযায়ী। এবং দেশব্যাপী ব্যাংকটির এজেন্ট পয়েন্ট রয়েছে ৫৬৩টি; ২০২০ সালের ১০ অক্টোবরের হিসাব অনুযায়ী। এরই ধারাবাহিকতায় এবার নতুন প্রজন্মের প্রথম ব্যাংক হিসেবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ব্যাংকটির আইপিও’র আবেদনে অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে দীর্ঘ ১২ বছর পর কোনো ব্যাংকের আইপিও আসছে বাজারে। এর আগে সবশেষ ২০০৮ সালে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ব্যাংক খাতের কোম্পানি হিসেবে পুঁজিবাজারে আসে। বিএসইসির ৭৪৯তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। এনআরবিসি আইপিওর মাধ্যমে মোট ১২ কোটি শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজারে থেকে ১২০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। ব্যাংকটি ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আইপিও’র মাধ্যমে অভিহিত মূল্য তথা ১০ টাকা মূল্যে ১২ কোটি শেয়ার ইস্যু করবে। উত্তোলিত অর্থের মধ্য থেকে সরকারি সিকিউরিটিতে ১১০ কোটি টাকা এবং পুঁজিবাজারের সেকেন্ডারি মার্কেটে ৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। আর আইপিওর প্রক্রিয়ার জন্য ব্যয় হবে ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। গত পাঁচ বছরের ভারিত গড় হিসাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস ১ টাকা ৫৫ পয়সা। গত ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ১৩ টাকা ৮৬ পয়সা (সম্পদ পুনঃমূল্যায়ন ব্যতীত)। ব্যাংকটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনারস ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড।

আরও পড়ুন: