ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

সম্মিলিত শেয়ার ধারণে ৩ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত সময় পাচ্ছে ৯ কোম্পানি


নিউজ ডেস্ক
91

প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারীফেব্রুয়ারি ২০২০
সম্মিলিত শেয়ার ধারণে ৩ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত সময় পাচ্ছে ৯ কোম্পানি



দ্বিতীয় দফায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৯টি কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকরা সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের সময় পাচ্ছে। শেয়ার কেনা চলমান এরকম কোম্পানির উদ্যোক্তাদের-পরিচালকদের ৩ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত সময় দিচ্ছে। কোম্পানিগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আজ সোমবার(০৭ডিসেম্বর) এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কোম্পানিগুলো হলো: অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, আফতাব অটোমোবাইলস, ইনটেক অনলাইন, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার, তাল্লু স্পিনিং, ডেল্টা স্পিনার্স, ফু-ওয়াং ফুডস, ফাইন ফুডস ও সেন্ট্রাল ফার্মাসিটিউক্যালস লিমিটেড। বিষয়টি অর্থসূচকের নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির একাধিক কর্মকর্তা। তারা বলেন, প্রায় সবকটি কোম্পানি শেয়ার কিনে সম্মিলিতভাবে ৩০শতাংশ শেয়ার ধারণের জন্য সময় চেয়েছে।কমিশন সবাইকে সময় দেবে না। তবে যারা শেয়ার কিনছে, কয়েকদিনের মধ্যে শেয়ার কেনা শেষ হয়ে যাবে। তারা শেয়ার কিনে রিপোর্ট জমা দিবে কমিশনে। এজন্য কমিশনের পক্ষ থেকে এসব কোম্পানিকে কোনো ধরনের চিঠি দেওয়া হবে না। তবে ঢালাওভাবে কোনো কোম্পানিকে সময় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান তারা। সংস্থাটির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, ‘যেসব কোম্পানি শেয়ার ধারণের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দেয়নি তাদের আর সময় দেয়া হবে না। নির্দিষ্ট সময় পরে কোম্পানিগুলোর পর্ষদ পুনর্গঠন করা হবে।’ নির্ধারিত সময়ে শেয়ার দান করতে না পারা কোম্পানিগুলো হলো- অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যাল, অগ্নি সিস্টেম, আলহাজ্ব টেক্সটাইল, অ্যাপোলো ইস্পাত, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল, ফ্যামিলিটেক্স, ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ফু-ওয়াং সিরামিকস, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, ইমাম বাটন, ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক, মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডায়িং, নর্দান জুট, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ফার্মা এইড, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, স্যালভো কেমিক্যালস, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এবং কে অ্যান্ড কিউ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ২০১০ সালে দেশের পুঁজিবাজারে মহাধসের পর সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে আসে অনেক উদ্যোক্তা-পরিচালকের শেয়ার বিক্রির তথ্য। তাদের বেশিরভাগই নামমাত্র শেয়ার নিয়ে দাপটের সঙ্গে বসতেন পরিচালনা পর্ষদে। পর্যাপ্ত শেয়ার না থাকায় কোম্পানি পরিচালনায় তাদের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেন, মালিকানার অংশ কম থাকায় উদ্যোক্তা-পরিচালকরা যেনতেনভাবে কোম্পানি পরিচালনা করেন, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। এসব আলোচনা আমলে নিয়ে ২০১১ সালে পর্ষদে থাকার শর্ত হিসেবে পরিচালকদের ব্যক্তিগতভাবে দুই শতাংশ আর সম্মিলিতভাবে ৩০ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক করে বিএসইসি।

আরও পড়ুন:

বিষয়: