ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

আধুনিক পুঁজিবাজারের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন মারুফ মতিন


নিউজ ডেস্ক
85

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২০
আধুনিক পুঁজিবাজারের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন মারুফ মতিন



দেশের পুঁজিবাজারের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন ওয়ালি-উল-মারুফ মতিন। বয়সের তুলনায় উদ্ভাবনী ক্ষমতা ছিল অনেক বেশি। পুঁজিবাজারে বুকবিল্ডিং সিস্টেম চালু, ডিমিউচুয়ালাইজেশন এবং সিডিবিএল গঠনসহ অধিকাংশ সংস্কারে তার বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই আগামীতেও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সব কাজে মারুফ মতিনের ছায়া থাকবে।
শেয়ারের অন্যতম উদ্যোক্তা মসলিন ক্যাপিটালের প্রয়াত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়ালি উল মারুফ মতিনের স্মরণে বুধবার ভাচুর্য়াল আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিইএবি) এবং ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে। ভিসিপিইএবির সভাপতি শামীম আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। বক্তব্য রাখেন বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার, সিএমজেএফের সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল, মসলিন ক্যাপিটালের চেয়ারম্যান এম হাফিজুর রহমান এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়। উল্লেখ্য করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন ওয়ালি-উল-মারুফ মতিন। দেশের বাজারে বড় ধরনের যেসব সংস্কার হয়েছে, তার প্রায় সবগুলোতেই মারুন মতিনের হাত রয়েছে। স্মরণসভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, মারুফ মতিন ছিলেন উদ্ভাবনী ক্ষমতা সম্পন্ন উদ্যোক্তা। তার মতো মেধাবী লোক শেয়ারবাজারে বিরল। তিনি বলেন, আমি যখন সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ছিলাম, তখন মারুফ মতিন আমার কাছে এসেছিলেন। উনি বিভিন্ন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল নিয়ে কথা বলেন। বয়সের তুলনায় উদ্ভাবনী ক্ষমতা (ইনোভেশন) ছিল অনেক বেশি। তার দেখানো পথে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইন্সটিটিউটে (বিআইসিএম) আমরা একটি কোর্স চালু করেছি। নতুন একটি প্রতিষ্ঠানও গঠন করেছি। তার দেখানো পথে পুঁজিবাজারের সব কার্যক্রমে মারুফ মতিনের ছায়া রাখতে চাই। বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খন্দকার বলেন, মারুফ মতিন পুঁজিবাজারের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন। বুক বিল্ডিং সিস্টেম চালু, ডিমিউচুয়ালাইজেশন ও সিডিবিএলের গঠনে মারুফ মতিন প্রথম প্রস্তাব করেন। এছাড়া বাংলাদেশ ভারত মিলে কমোডিটি এক্সচেঞ্জে গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। মসলিন ক্যাপিটালের চেয়ারম্যান এম হাফিজুর রহমান বলেন, মারুফ স্বপ্ন দেখতো, বাস্তবায়ন করতো। তাকে আমাদের দরকার ছিল। বিএসইসির সাবেক কমিশনার ও আইডিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান বলেন, পুঁজিবাজারে জ্ঞানী ও প্রফেশনাল ব্যক্তি ছিলেন তিনি। সিএমজেএফের প্রেসিডেন্ট হাসান ইমাম রুবেল বলেন, মারুফ মতিন ছিলেন সত্যবাদী ও নিষ্ঠাবান। পুঁজিবাজারকে তিনি অনেক কিছু দিয়েছেন। ডিমিউচুয়ালাইজেশনের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন তিনি। ডেরিভেটিভস মার্কেট নিয়ে অনেক কাজও করেছেন।

আরও পড়ুন:

বিষয়: