ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

লুব্রিকেন্টস শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে লুব-রেফ (বাংলাদেশ)


নিউজ ডেস্ক
82

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
লুব্রিকেন্টস শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে লুব-রেফ (বাংলাদেশ)



মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান : বুক বিল্ডিং পদ্ধতির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসছে লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড। ইতোমধ্যে কোম্পানিটিকে যোগ্য বিনিয়োগকারী (Eligible Investors) তথা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য নিলাম (Bidding) অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এবং আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রির বিডিং তথা নিলামের তারিখ নির্ধারণ হতে পারে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। সূত্র মতে, লুব্রিকেন্টস শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেডে। বিএনও ব্র্যান্ড বাজারজাত করা এ কোম্পানিটি সুইডেনের ট্রান্সফরমার তেল প্রযুক্তি ‘নিনাস’ এবং ফিনল্যান্ড থেকে ‘ন্যানো’ প্রযুক্তি ইঞ্জিন লুব্রিক্যান্টস চালু করেছে অনেক আগেই। কোম্পানিটির নতুন এই প্রযুক্তি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান উৎপাদন ও চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এই সংক্রান্ত লুব অয়েলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের অর্থনীতির বিকাশের কারণে যে কোনো ধরনের পণ্যের চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। লুব অয়েল তাদের মতো একটি। তাই লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড যেহেতু দক্ষতার সহিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে তাই তাদের ভবিষ্যত উজ্জল বলে মনে করছেন অনেকেই। কোম্পানিটির প্রসপেক্টাস থেকে জানা যায়, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড গুণগত পণ্য উৎপাদন করছে। শুধু তাই নয়, অল্প ব্যয়ে পণ্যের উন্নত মান নিশ্চিত করে উৎপাদন করছে। গ্রাহকরা যাতে খুব সহজেই অল্প ব্যয়ে পণ্য পেতে পারে সেবিষয়টি দেখা হয় কোম্পানির তরফ থেকে। লুব রেফ আধুনিক পরীক্ষাগার চালু করেছে। পরীক্ষাগারটি আমেরিকা-ইউরোপ থেকে যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে সুসজ্জিত করা হয়েছে। তাই পুঁজিবাজাররে কোম্পানিটি আসলে কাজের পরিধি আরও বৃদ্ধি পাবে। বৃদ্ধি পাবে মুনাফার পরিমানও; এমনটাই মনে করছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। সূত্র মতে, আলোচ্য কোম্পানিটি বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) এর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে। সংগৃহীত টাকায় নতুন যন্ত্রপাতি কেনা, ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ খাতে ব্যয় করবে। কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী যথাক্রমে শেয়ার প্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) ৩১ টাকা ৯৩ পয়সা ও শেয়ার প্রতি নিট সম্পত্তির মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ব্যতীত) ২৫ টাকা ৯৬ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ২ টাকা ৮ পয়সা। আরো উল্লেখ্য, বিগত ৫ টি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কর পরবর্তী নীট মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি আয় (ওয়েটেড এভারেজ ইপিএস) ২ টাকা ২৩ পয়সা। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে এনআরবি ইক্যুইটিজ ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

আরও পড়ুন:

বিষয়: