ঢাকা শনিবার
২৭ এপ্রিল ২০২৪
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১

করোনা ভাইরাস : শেয়ারবাজারে ৯ হাজার কোটি টাকা ‘হারিয়েছেন’ ট্রাম্প


নিউজ ডেস্ক
110

প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২০
করোনা ভাইরাস : শেয়ারবাজারে ৯ হাজার কোটি টাকা ‘হারিয়েছেন’ ট্রাম্প



ডেস্ক রিপোর্ট : করোনাভাইরাস যেন বিশ্বব্যাপী সব মানুষের জন্যই বড় এক অভিশাপ হিসেবে এসেছে। ধনী-গরিব কাউকে ছাড় দিচ্ছে না এই ভাইরাস। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিজেদের লকডাউন ঘোষণা করেছে। বন্ধ বিমান চলাচল, অফিস আদালত, কলকারখানা। বিশ্ব বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। ধেয়ে আসছে অর্থনৈতিক মন্দা। তাতে স্মরণকালের তীব্র দর পতন চলছে শেয়ারবাজারে। আর এই দর পতনে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত এক মাসে করোনায় শেয়ারবাজারে মন্দার কারণে ট্রাম্প ১’শ কোটি ডলারের কিছু বেশি (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা)ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বাজারে শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় ট্রাম্পের সম্পদের মূল্য এ পরিমাণ কমে গেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পদ ও আয়ের মূল উৎস তার রিয়েল এস্টেট ব্যবসা। দ্যা ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের আওতায় প্রায় ৩’শ কোম্পানি রয়েছে। এর বেশিরভাগই হচ্ছে রিয়েল এস্টেট সংক্রান্ত। এসবের মধ্যে রয়েছে হোটেল, রিসোর্ট, ক্যাসিনো। নিজস্ব মালিকানার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক হোটেল চেইন হায়াতসহ  কয়েকটি বড় হোটেলে রয়েছে তার অংশীদারিত্ব। ট্রাম্পের প্রধান হোটেল রিসোর্টগুলোর মধ্যে রয়েছে-ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল, ট্রাম্প তাজমহল, ট্রাম্প ম্যারিনা, ট্রাম্প লেক মিশিগান, ট্রাম্প ২৯ ( আগের নাম ট্রাম্প হোটেল অ্যান্ড ক্যাসিনো রিসোর্টস)। ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল ক্যাসিনোর শহর লাস ভেগাসে অবস্থিত। করোনার কারণে হোটেলটির বুকিং এখন প্রায় শুন্য। আয় তো নেই-ই, উল্টো পরিচালন লোকসান আছে।একদিকে বৈশ্বিক অর্থনীতির সম্ভাব্য মন্দার প্রভাবে শেয়ারবাজারে সব শেয়ারের দামই কমছে, যার প্রভাব পড়েছে ট্রাম্পের কোম্পানির শেয়ারেও; অন্যদিকে করোনার কারণে যেসব ব্যবসা সবচেয়ে বেশি ক্ষতগ্রস্ত হয়েছে, হোটেল ব্যবসা তার অন্যতম। এ কারণেও ব্যাপকভাবে কমেছে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের শেয়ারের দাম। ট্রাম্পের দুটি প্রতিষ্ঠান ক্যাসিনো তথা জুয়ার ব্যবসায় যুক্ত। করোনার কারণে এই ব্যবসায়ও এখন মন্দা চরম। সব মিলিয়েই ট্রাম্প সাম্রাজের আয় কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে তার কোম্পানির শেয়ারে। শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় ট্রাম্পের সম্পদের মূল্যও কমছে। মূলত ব্যক্তিগত লোকসানের কারণেই অনেকটা মার্চের শেষ সপ্তাহের দিকেও ট্রাম্প দেশে করোনা সংক্রান্ত কড়াকড়ি তুলে নিয়ে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরুর জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘স্বাস্থ্যের চেয়ে অর্থনৈতিক গুরুত্ব বেশি, তাই আমাদেরকে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফিরে যেতে হবে’। ট্রাম্পের যুক্তি ছিল, প্রতি বছর বিভিন্ন ধরনের ফ্লু এ আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ মারা যায়। তাই করোনায় মৃত্যুর বিষয়টিকে এত বেশি গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। তবে এপ্রিলের শুরুর দিকে পরিস্থিতির চরম অবনতি হতে থাকলে এ বিষয়ে আর কোনো কথা বলেননি। সূত্র : ফোর্বস, গার্ডিয়ান, সিএনএন ও ওয়াশিংটন পোস্ট অবলম্বনে

আরও পড়ুন: