‘পুঁজিবাজারে ওয়ালটন আসলে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়বে’
নিউজ ডেস্ক
75
প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২০
মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান : ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত হতে যাওয়া কোম্পানিটি নিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের যেন শেষ নেই। আন্তর্জাতিক মানের দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন ভালো কিছুর চমক দেখাতেই পুঁজিবাজারে আসছে। এমনটাই ধারণা্ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের।
শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারী মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান কল্লোল স্টক টাইমসকে বলেন, ওয়ালটন একটি ভালো মানের দেশীয় কোম্পানি। আন্তর্জাতিকভাবেও এর সুনাম রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওয়ালটনের প্রডাক্ট রপ্তানি হয়। এতে করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। বিশেষ করে ফ্রিজ রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে কোম্পানিটি। এমন একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির পুঁজিবাজারে আসা উচিত।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পুঁজিবাজারের অবস্থা খুবই খারাপ। এমন পরিস্থিতিতে ওয়ালটন পুঁজিবাজারে আসলে ইক্যু্ইটি বৃদ্ধি পাবে। এটি বাজারের জন্য একটি পজিটিভ দিক। আর ভালো মানের কোম্পানি হওয়ায় বাজার থেকে টাকা উঠিয়ে নিয়ে তাদের চলে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তারা মার্কেটেই থাকবে। বিনিয়োগকারীরা উপকৃতই হবেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিজিএম মো. শফিকুর রহমান স্টক টাইমসকে বলেন, ওয়ালটন একটি বড় মাপের কোম্পানি। গ্রামীণ ফোন পুঁজিবাজারে আসার পর যেমন বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হয়েছেন, তেমনি ওয়ালটন আসলেও বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবেন। এছাড়াও ওয়ালটন আসলে নতুন নতুন বিনিয়োগকারী বাজারে আসবেন। এটি বাজারের জন্য একটি সুখবর।
সূত্র জানায়, নিলামে সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন কাট-অফ প্রাইস পর্যন্ত দর প্রস্তাবকারীরা, তাদের প্রস্তাবিত দরে ৬০ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার ৮০৫ টাকার শেয়ার কিনবেন। আর কাট অফ প্রাইস থেকে ১০ শতাংশ কম দরে ৩৯ কোটি ৩ লাখ ৪২ হাজার ১৯৫ টাকার শেয়ার প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে ইস্যু করা হবে।
এর আগে গত ২ মার্চ বিকাল ৫টায় কোম্পানিটি কাট অফ প্রাইস নির্ধারণের জন্য নিলাম শুরু করে। যা শেষ হয় গত বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ বিকাল ৫টায়।
কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। আর এই অর্থ কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও আইপিওর ব্যয় মেটাতে কাজে লাগানো হবে।
সর্বশেষ ৫ অর্থবছরে কোম্পানিটির ভারিত গড় হিসাবে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২৮ টাকা ৪২ পয়সা। আর ৩০ জুন, ২০১৯ তারিখে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (পুনর্মুল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) ছিল ২৪৩ টাকা ১৬ পয়সা। আর পুনর্মুল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৩৮ টাকা ৫৩ পয়সা।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্বে আছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
উল্লেখ্য, ওয়ালটনের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১৫ টাকা। নিলামের মাধ্যমে কোম্পানিটির এই কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন:
প্রথম সংবাদ সম্পর্কিত আরও
৬৭৯ কোটি টাকার শেয়ার ইস্যু করবে রূপালী ব্যাংক
০১ মে ২০২৪
লোকসানে গোল্ডেন হারভেস্ট
২৯ এপ্রিল ২০২৪
প্রযুক্তি খাতে করছাড়ের মেয়াদ না বাড়ানোর পরামর্শ আইএমএফের
২৮ এপ্রিল ২০২৪
আবারও কমলো সোনার দাম
২৭ এপ্রিল ২০২৪
এক দিনের ব্যবধানে আবারও কমলো স্বর্ণের দাম
২৫ এপ্রিল ২০২৪
পুঁজিবাজারে শরীয়াহ ভিত্তিক প্রোডাক্ট আনলে বিনিয়োগ বাড়বে: শেখ শামসুদ্দিন
২৩ এপ্রিল ২০২৪