ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

‘পুঁজিবাজারের স্থিরতায় ভূমিকা রাখবে ওয়ালটন’


নিউজ ডেস্ক
74

প্রকাশিত: ০৯ মার্চ ২০২০
‘পুঁজিবাজারের স্থিরতায় ভূমিকা রাখবে ওয়ালটন’



মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান : পুঁজিবাজারে আসছে আন্তর্জাতিক মানের দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ। দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে পুঁজিবাজারের বর্তমান নাজুক পরিস্থিতিতে ওয়ালটনের আসার খবরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতে, পুঁজিবাজারের স্থিরতায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে ওয়ালটন। ওয়ালটনের মতো উন্নতমানের কোম্পানিগুলোর পুঁজিবাজারে আসা উচিত। আর এব্যাপারে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জসহ (সিএসই) সকলের সহযোগিতা করা উচিত। ডিএসই’র ডিজিএম মো. শফিকুর রহমান স্টক টাইমসকে বলেন, সম্প্রতি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের বিডিং সম্পন্ন হয়েছে। বিডিংয়ে ২৩৩ জন বিডার সর্বোচ্চ ৭৬৫ টাকা দর প্রস্তাব করে এবং কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১৫ টাকা। নিলামের মাধ্যমে কোম্পানিটির এই কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ করা হয়। সূত্র জানায়, নিলামে সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন কাট-অফ প্রাইস পর্যন্ত দর প্রস্তাবকারীরা, তাদের প্রস্তাবিত দরে ৬০ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার ৮০৫ টাকার শেয়ার কিনবেন। আর কাট অফ প্রাইস থেকে ১০ শতাংশ কম দরে ৩৯ কোটি ৩ লাখ ৪২ হাজার ১৯৫ টাকার শেয়ার প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে ইস্যু করা হবে। এর আগে গত ২ মার্চ বিকাল ৫টায় কোম্পানিটি কাট অফ প্রাইস নির্ধারণের জন্য নিলাম শুরু করে। যা শেষ হয় গত বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ বিকাল ৫টায়। জানা গেছে, বিডিংয়ে দর প্রস্তাবকারীরা মোট ১৮৬ কোটি ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৩০০ টাকার দর প্রস্তাব করা হয়। এর আগে কোম্পানিটির বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নিলামের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি এবং কাট-অফ প্রাইস (Cut-off price) নির্ধারণের প্রস্তাব অনুমোদন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। আর এই অর্থ কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও আইপিওর ব্যয় মেটাতে কাজে লাগানো হবে। সর্বশেষ ৫ অর্থবছরে কোম্পানিটির ভারিত গড় হিসাবে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২৮ টাকা ৪২ পয়সা। আর ৩০ জুন, ২০১৯ তারিখে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (পুনর্মুল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) ছিল ২৪৩ টাকা ১৬ পয়সা। আর পুনর্মুল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৩৮ টাকা ৫৩ পয়সা। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্বে আছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। ওয়ালটন সূত্রে জানা যায়, ওয়ালটন সপ্তমবারের মতন ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা (ডিআইটিএফ) ২০১৫ এর সেরা করদাতার পুরস্কার পেয়েছে। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০১৭ এর সেরা ভ্যাট প্রদায়ক এবং বিগত কয়েক বছরের মতো প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। শুধু তাই নয়, ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০১১’ এবং ‘বেস্ট রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ এর মতো আরও বিভিন্ন সম্মানজনক খেতাবে ভূষিত হয়েছে ওয়ালটন। এভাবেই বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে সেরা করদাতাদের মধ্যে অন্যতম স্থান দখল করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মূলত সকল শ্রেণী পেশার মানুষদের টার্গেট করে ওয়ালটন কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে মধ্যম শ্রেণির মানুষরা বেশিরভাগই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলায় বিশ্বাসী এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার জন্যও তৎপর। কিন্তু তাদের উপার্জন একটা বড় বাধা হিসেবে কাজ করে। ওয়ালটনের প্রতিটি পণ্যের মূল্য কম বলে মাধ্যম এবং নিম্ন আয়ের মানুষজন অতি সহজে তাদের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে ওয়ালটনের দীর্ঘস্থায়ী ক্রেতায় পরিণত হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যবহৃত নিত্যনতুন কলাকৌশল ব্যবসা সম্প্রসারণে গুরুতর ভূমিকা রাখে। এই যাত্রায় পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে আসা বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার একটি হলো মূল্যের সঙ্গে মানের সামঞ্জস্য। কিন্তু ওয়ালটন কোনোভাবেই তাদের গুণগতমানের সঙ্গে আপোস করেনি বলে ক্রেতাসন্তুষ্টি অর্জিত হয়েছে। এবং ওয়ালটন এই যশ সম্পূর্ণরূপে তার ক্রেতাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ায় বিশ্বাসী। ওয়ালটন মনে করে, আজকের সফল ওয়ালটনকে শেকড় থেকে শিখরে নিয়ে গেছে তারা, যারা অমায়িক আস্থা ধরে রেখেছে এর ওপর। অর্থাৎ ওয়ালটনের মূল্যবান গ্রাহকরা। বিশাল এই কোম্পানির দেশের অর্থনীতির স্বার্থে পুঁজিবাজারে অতি দ্রুত লেনদেনে আসা উচিত বলে মনে করেন গ্রাহক থেকে শুরু করে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

আরও পড়ুন:

বিষয়: