ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

১০ মাসে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি


নিউজ ডেস্ক
82

প্রকাশিত: ১০ মে ২০১৯
১০ মাসে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি



স্টাফ রিপোর্টার : তৈরি পোশাক রফতানিতে জোরালো প্রবৃদ্ধির ওপর ভর করে চলতি অর্থবছর দেশের সামগ্রিক রফতানি আয়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে চামড়া ও পাটপণ্যের রফতানি কিছুটা কমায় রফতানির সামগ্রিক অগ্রযাত্রায় কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে। বৃহস্পতিবার, ০৯ মে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে প্রকাশিত চলতি অর্থবছরের ১০ মাসের (জুলাই-এপ্রিল) রফতানি আয়ের তথ্যে এ চিত্র উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, ১০ মাসে কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে প্রকৃত রফতানি আয়। এ সময় রফতানি আয় দাঁড়ায় তিন হাজার ৩৯৩ কোটি ৭২ লাখ ডলার, যা প্রাক্কলনের চেয়ে ছয় দশমিক ৩৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছর ১০ মাসে রফতানি আয় ছিল তিন হাজার ৪০ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে মোট রফতানি আয়ে পোশাকের অবদান প্রায় ৮৩ শতাংশ। তবে হোমটেক্স, টেরিটাওয়েলসহ এ খাতের অন্য রফতানির উপখাত হিসাব করলে তৈরি পোশাক খাতের অবদান ৮৮ শতাংশেরও বেশি হবে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে তিন হাজার ১৯০ কোটি ৯০ লাখ ডলারের পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। রফতানির এই ধারা অব্যাহত থাকলে এবারও বাংলাদেশের রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা। তৈরি পোশাক খাত: রফতানির হালনাগাদ তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে দুই হাজার ৮৪৯ কোটি সাত লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি হয়েছিল দুই হাজার ৫৩০ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। ফলে এ খাতে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। তৈরি পোশাক খাতের মধ্যে নিটপণ্যের রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪০৮ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। আর ওভেন গার্মেন্টের রফতানি আয় এক হাজার ৪৪০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। খাত দুটিতে রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কাছাকাছি। চামড়াজাত পণ্য: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি আয়ের উৎস চামড়াশিল্পের খরা এ মাসেও কাটেনি। অর্থবছরের ১০ মাস পার হলেও ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির ধারা থেকে বের হতে পারেনি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের এই খাত। চলতি অর্থবছরে আট দশমিক ৬৯ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি রয়েছে চামড়াশিল্পে। গত অর্থবছরে এ খাতে রফতানি আয় ছিল ১০৮ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরে ১১২ কোটি ৪০ লাখ ডলারের পণ্য রফতানির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। তবে ১০ মাসে রফতানি হয়েছে ৮৩ কোটি ৭১ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি হয়েছিল ৯১ কোটি ৬৭ কোটি ডলার। পাটজাত পণ্য: চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ৬৯ কোটি ৫৫ লাখ ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮৮ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। ফলে এই খাতেও দেখা দিয়েছে প্রায় ২২ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি। মৎস্য ও হিমায়িত খাদ্য: গত অর্থবছর ৫০ কোটি ৮৪ লাখ ডলার রফতানি হয়েছিল এ খাতে। এ বছর ১০ মাসে রফতানির লক্ষ্য ছিল ৪১ কোটি ৩২ লাখ ডলার। তবে এই সময়ে রফতানি আয় হয়েছে ৪৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। গত বছর একই সময়ে রফতানি হয়েছিল ৪৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পণ্য। এ হিসাবে খাতটিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে দুই দশমিক ৬৫ শতাংশ। কৃষিপণ্য: চলতি অর্থবছর ১০ মাসে এ খাতে রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ৭৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। যদিও গত অর্থবছর একই সময় এ খাতের রফতানি আয় ছিল ৫৪ কোটি ৩২ লাখ ডলার। এ হিসেবে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। এদিকে পেট্রোলিয়াম পণ্যে ১০ মাসে রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫৩৩ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে ২৩ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং তুলা ও তুলাজাতীয় পণ্যে ১৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। প্রতিবেদনে দেখা যায়, একক মাস হিসেবে চলতি বছরের এপ্রিলে রফতানি আয় হয়েছে ৩০৩ কোটি ৪২ লাখ ডলার, যদিও লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। সে হিসাবে এ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে প্রায় পাঁচ কোটি ডলার। তবে গত বছরের এপ্রিলে আয় হয়েছিল ২৯৫ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। সে হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে দুই দশমিক ৬৯ শতাংশ।

আরও পড়ুন:

বিষয়: