ঢাকা শনিবার
২৭ এপ্রিল ২০২৪
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১

গত ৭ বছরে পচাঁ কোম্পানি খাওয়ানো হয়েছে বিনিয়োগকারীদের : কাজী ফিরোজ


নিউজ ডেস্ক
85

প্রকাশিত: ০১ মে ২০১৯
গত ৭ বছরে পচাঁ কোম্পানি খাওয়ানো হয়েছে বিনিয়োগকারীদের : কাজী ফিরোজ



স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় সংসদ সদস্য ও ডিএসইর ট্রেকহোল্ডার কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, গত ৭ বছরে দূর্বল ও পচাঁ কোম্পানি আনা হয়েছে। সেগুলো আবার বিনিয়োগকারীদের খাওয়ানো হয়েছে। সেসব কোম্পানিতে পুজি হারিয়ে গেছে। কিন্তু কারা এইসব পচাঁ কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে এনেছে। এ জন্য কারা দায়ী। এদেরকে খুজে বের করার জন্য আপনি (অর্থমন্ত্রী) একটি কমিশন গঠন করুন। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে কোন পচাঁ কোম্পানি যাতে শেয়ারবাজারে না আসে, সেদিকে বিএসইসির চেয়ারম্যানকে নজড় দেওয়ার জন্য আহ্বান করেছেন তিনি। মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) স্মল ক্যাপ মার্কেট বা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই) প্লাটফরম উদ্বোধনীতে তিনি এ কথা বলেন। ডিএসইর স্মল ক্যাপ মার্কেট উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল হাশেম। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, শেয়ারবাজারের অব্যাহত পতনে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে এসেছে। কিন্তু কেনো তাদেরকে রাস্তায় নামতে হলো। এর জন্য কারা দায়ী। তাদেরকে খুজে বের করতে হবে। এটা কোন ছেলে খেলা না। তিনি বলেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার আন্তর্জাতিক মানের হবে বলে সাবেক অর্থমন্ত্রী বলতেন। কিন্তু তার কতটা হয়েছে। আর সেই ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের মাধ্যমে আমাদেরকে ২৫ শতাংশ শেয়ার বেচতে বাধ্য করা হল। প্রতিটি ২২ টাকা করে বিক্রিতেও বাধ্য করা হল। পৃথিবীর কোন দেশে এভাবে শেয়ার বিক্রিতে বাধ্য করা করা হয়। এছাড়া শেয়ার বিক্রির সেই টাকাও এখন শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে বাধ্য করা হচ্ছে। বাজারের বর্তমানে অবস্থায় বিনিয়োগ করলে, সেটা আবার হারিয়ে যাবে। এমনিতেই ব্রোকারেজ হাউজ বন্ধ করার উপায়। এই সংসদ সদস্য বলেন, টাকাতো এমনিতেই বিদেশে পাচার করা হয়। এর চেয়ে ভালো আপনি (অর্থমন্ত্রী) কালো টাকা শেয়ারবাজারে আনার সুযোগ করে দেন। একটা ব্লকে ওইসব টাকা ৪-৫ বছর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জকে ৫বছর শতভাগ কর মওকুফের সুযোগ দেওয়া হবে বলে সাবেক অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন। কিন্তু এখন ২ বছর পর থেকেই কর দিতে হচ্ছে। কিন্তু একজন মন্ত্রী পরিবর্তন হলেও সেই কথা পরিবর্তন হওয়া ঠিক না বলে তিনি মনে করেন।

আরও পড়ুন: