ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

শেয়ারবাজারে আসছে ওয়ালটন


নিউজ ডেস্ক
67

প্রকাশিত: ০৭ জানুয়ারী ২০১৯
শেয়ারবাজারে আসছে ওয়ালটন



স্টাফ রিপোর্টার: দেশের ইলেকট্রনিক খাতের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসছে অন্যতম শীর্ষ মার্চেন্ট ব্যাংক এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ার ছেড়ে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হবে কোম্পানিটি। ধারণা করা হচ্ছে, গ্রামীণফোনের পর এটিই হবে দেশের পুঁজিবাজারে সবচেয়ে আলোচিত আইপিও। কারণ ওয়ালটন খুবই পরিচিত ও জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। টেলিভিশন, ফ্রিজ, মাইক্রোওভেন, এয়ারকন্ডিশন, ল্যাপটপ, মোবাইলফোনসহ নানা ধরনের ইলেকট্রিক, ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স তৈরি করে থাকে কোম্পানিটি। দেশের বেশিরভাগ পরিবারেই এই ব্র্যান্ডের কোনো না কোনো পণ্য থাকতে দেখা যায়। কোনো কোম্পানির পণ্য ও সেবার উপস্থিতি হরহামেশা দেখা গেলে, বিশেষ করে নিজের ব্যক্তি জীবনের সঙ্গে এসব পণ্য ও সেবার সম্পর্ক থাকলে ওই কোম্পানির মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায়। সে কারণে গ্রামীণফোনের আইপিও সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং ওয়ালটনের আইপিওটিও দেশব্যাপী সারা জাগাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৌলভিত্তির দিকে থেকেও ওয়ালটনের আইপিও হবে পুঁজিবাজারের জন্য একটি মাইলস্টোন। কারণ ৩০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানির অবন্টিত মুনাফা হিসেবে রিজার্ভে আছে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের নিট সম্পদ মূল্য বা এনএভিপিএস ২০৭ টাকা। ওয়ালটনের আইপিওকে দেশের পুঁজিবাজারের জন্য একটি মাইলস্টোন বলে মনে করছেন এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান এফসিএস। তিনি মনে করেন, ওয়ালটনের আইপিওতে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের অন্য বড় কোম্পানিগুলোও পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহ পোষণ করবে। তিনি আরও বলেন, মার্কেটের ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাইয়ের সঙ্গে ম্যাচ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আইপিও অনুমোদন দিয়ে থাকে। মার্কেটে আইপিওর বেশ ডিমান্ড কাজ করছে। যেসব আইপিও আসছে সেগুলোতে ভালো প্রাইজ হচ্ছে। বিয়োগকারীরা বিনিয়োগের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে। তাই আমি মনে করি ভালো কোম্পানি বেশি করে বাজারে আসা উচিত। সরকারি ও বহুজাতিক কোম্পানির তালিকাভুক্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকারী কোম্পানিগুলো আসার ব্যাপারে কিছুটা জটিলতা আছে। এটা সরকারের পলিসির বিষয়। যদিও এটা ধীর গতিতে চলছে তবে আমরা আশা করছি সরকারী শেয়ার বাজারে আনার বিষয়ে ইতিবাচক উদ্যোগ নেবে বর্তমান সরকার। ওয়ালটন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা সর্বশেষ ইস্যু হিসেবে বাজারে এনেছি বসুন্ধরা পেপার মিলস। এর আগে শাহজিবাজার পাওয়ার এনেছে এএএ ফাইন্যান্স। এখন আমরা ওয়ালটন নিয়ে কাজ করছি। ওয়াটন হচ্ছে দেশের ভেরি প্রফেসনাল অর্গানাইজেশন। ম্যানুফেকচারিং খাতে তারা ভালো করছে। কোম্পানিটি দেশের সবচেয়ে বড় ম্যান্যুফেকচারার এবং অন্যতম সেরা করদাতা। ওয়ালটের অবকাঠামো সম্পর্কে তিনি বলেন, কোম্পানিটির ল্যান্ড এরিয়া রয়েছে প্রায় ৪২০ একর। এখানে প্রায় ৭ হাজার জনবল কাজ করছে। বাংলাদেশে এত বড় একটি কোম্পানি যার রয়েছে প্রচুর লিক্যুইডিটি। কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং এএএ। ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ওয়ালটনের আইপিওতে ইতিবাচক সাড়া দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এএএ ফাইন্যান্স সম্পর্কে মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, এএএ ফাইন্যান্স ১৯৯১ সাল থেকে কাজ করছে। দেশের প্রথম মার্চেন্ট ব্যাংকার হিসেবে নিবন্ধিত হয় প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে ইস্যু পরিচালানার জন্য সুদক্ষ ও শক্তিশালি টিম। যাদের মধ্যে বাজারে গতিশীলতা বুঝার দক্ষতা রয়েছে। একই সঙ্গে রয়েছে তাদের রয়েছে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ। মার্চেন্ট ব্যাংকের সব ধরনের কাজ করার জন্য ট্রিপল এ সর্বদা প্রস্তুত থাকে।

আরও পড়ুন:

বিষয়: