ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

ডিএসইর শেয়ার বিক্রিতে কার কি লাভ?


নিউজ ডেস্ক
40

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০১৮
ডিএসইর শেয়ার বিক্রিতে কার কি লাভ?



ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার বিক্রি হবে। চীন এবং ভারত কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিক্রির কথায় আমরা বিনিয়োগকারীরা অনেকে বুঝে বা না বুঝে টেনশন করছি। ডিএসইর শেয়ার যে-ই কিনুন তাতে আমাদের বিনিয়োগকারীদের সরাসরি কি লাভ হবে? আমাদের কোন লাভ-লোকসান নেই। তবে সুসংবাদ আছে। ২২ টাকা, না ১৫ টাকায় বিক্রি হবে, এই টেনশন পরিচালকদের, আমাদের নয়। অতএব সাধারণ বিনিয়োগকারীদের এই নিয়ে উচ্ছ্বসিত হওয়ার বা টেনশন করার কোন কারণ নেই। আর যদি করে থাকেন, তরে এটি হবে আপনার ভুল। এই সত্যটা অনেক প্রকাশ করছেন না। আর না করার পেছনের কারণ হলো- সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উচ্ছ্বসিত রাখা এবং সুস্থ ‍পুঁজিবাজারে ভূমিকা রাখা। এখন কথা হলো- ডিএসইর মালিক ৭ টাকা কম বা বেশী পেলে তারা পাবেন, আমাদের নয়। তবে আশার কথাও রয়েছে, সেও বলছি। আগের কথা না হয় বাদ দিলাম। ২০১০ এর পর থেকে মার্কেটে ধস চলমান থাকলেও ডিএসই মুনাফা করেছে। ২০১৭ সালেও ১০ টাকার শেয়ারে ০.৬ টাকা লাভ করেছে। তবে ডিএসইর শেয়ার আপনিও কিনতে পারেন। তাহলে এই লাভের ভাগ আপনিও পাবেন। আশার কথা হল, চায়না-ভারতের গেঞ্জাম মিটলে ডিএসইর শেয়ার পাবলিকের কাছেও বিক্রি হবে আইপিওর মাধ্যমে। কবে, কত টাকায় আইপিও হয়ে আসবে তাই আমাদের সবার জানার আগ্রহ। ভারত ৫ বছরের জন্য ও চীন ১০ বছরের জন্য ডিএসই’র শেয়ার কিনতে চাইছে। এই মেয়াদের পর চাইলে তারা অন্য কারো কাছে তাদের শেয়ার বেচে লাভসহ পুঁজি তুলে নিতে পারবে। ডিএসই’র আয়ের প্রধান মাধ্যম হল ট্রেড কমিশন। আমরা যে ২৫-৩০-৪০-৫০ পয়সা ট্রেড কমিশন দেই তা থেকে ৩-৫ পয়সা ডিএসই পায়। ভারত ও চীন যাই কিনুন তাকে মুনাফা করতে হলে মার্কেট কেপিটালাইজেশন বাড়াতে হবে, সাথে ট্রেড ভলিউম। নুন্যতম ৮০০শ কোটি টাকা ট্রেড না হলে ডিএসইর সেই দিন লোকসান গুনতে হয়। ১৫-২২ টাকা ইনভেস্ট করে চীন-ভারত কেউ ডিএসইতে লস গুনতে আসবে না। ৫-১০ বছরে দুই-তিন গুণ মুনাফা নিয়ে তবেই বের হবে। আর শুধু লাভই নয় দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-চীন এখন ভূ-রাজনৈতিক ক্ষমতার দখন নিয়ে অদৃশ্য যুদ্ধে লিপ্ত। বাংলাদেশে কন্সটাকশন, পাওয়ার প্লান্ট, ডিপ সি পোর্ট ইত্যাদি নিয়ে কাড়াকাড়ি চলছে। বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা থাকায় সবাই আসতে চায়। পরিস্থিতি বিবেচনায় বিনিয়োগকারী হিসেবে আমাদের খুশি থাকা উচিত। আশার কথা হলো- ভারত-চীন যেই আসুক নিজের লাভের জন্য বাজারে নতুন-নতুন কোম্পানির আনবে। নতুন প্রডাক্ট আনবে, ট্রেড ভলিউম বাড়াবে, দেশী-বিদেশি বিনিয়োগকারী আসবে। তারা চাইবে, বাজারে সব সময় তেজী ভাব রাখতে এবং ফিরিয়ে আনতে। আর ধরে রাখতে না পারলে লস গুনতে হবে। তখন বাজার ভালো হতে তারা বাধ্য। অপেক্ষা করছি- সেই শুভ দিনের জন্য।

আরও পড়ুন:

বিষয়: