ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

ইন্দো-বাংলা ফার্মার শেয়ার প্রাইজ কত হতে পারে


নিউজ ডেস্ক
40

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারী ২০১৮
ইন্দো-বাংলা ফার্মার শেয়ার প্রাইজ কত হতে পারে



স্টাফ রিপোর্টার: সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) সম্পন্ন করা ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের লেনদেন ঢাকা এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে  “এন” ক্যাটাগরিতে আগামীকাল ১৮ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার শুরু হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। লেনদেন কতো টাকায় শুরু হবে, কত টাকা দাম হতে পারে এ নিয়ে চলছে আলোচনা, নানা ভ্যালুয়েশন, গুঞ্জন। প্রশ্ন হলো ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ার দাম সেকেন্ডারি মার্কেটে কত হতে পারে? সেকেন্ডারি মার্কেটে কোন শেয়ারের বাজারমূল্য কোন একক উপাদানের উপর নির্ভর করে না। বরং কোম্পানির আয় (ইপিএস), কোম্পানির ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ও সম্ভবনা, ম্যানেজমেন্ট, লাভ্যাংশ প্রদানের হার, কাঁচামাল প্রাপ্তি, সরকারের ট্যাক্স পলিসি, কোম্পানির সম্পদ, উৎপাদিত পণ্যের ধরণ ও বাজার, কোম্পানির সেলস ও আয়ের প্রবৃদ্ধি। শুধুমাত্র লোকাল মার্কেট (দেশে) কোম্পানি ব্যবসা করে নাকি বিদেশেও কোম্পানি পণ্য সেল করে, সুনামসহ ফান্ডামেন্টাল বিষয়গুলোসহ শটটার্মে কোম্পানির শেয়ারের সাপলাই ডিমান্ডের উপর নির্ভর করে। হতে পারে সেই সাপলাই ডিমান্ড স্বাভাবিক বা কৃত্রিম। কিন্তু শটটার্মে এই সাপলাই ডিমান্ড কোম্পানির শেয়ার দামে তীব্র প্রভাব বিস্তার করবেই। ইন্দো-বাংলার ফান্ডামেন্টাল বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় কোম্পানিটির  ফান্ডামেন্টাল অনেক মজবুত, বিষয়টি তেমন নয়। ফার্মাসিউটিক্যালস সেক্টকে কোম্পানির মার্কেট শেয়ার (মার্কেটে কোম্পানির পণ্য সেলসের ভিত্তিতে) অনেক নিচেই।  ব্যান্ড ভেলু (ব্যবসায়িক সুনাম) ভিত্তিতে কোম্পানির অবস্থান অনেক উপরে নয়। বাংলাদেশের বাজারে ফার্মাসিউটিক্যালস সেক্টকে আধিপত্য নিয়ে ব্যবসা করছে (ব্যান্ড ভেলু ও সেলসের দিক থেকে) স্কয়ার ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, ইনসেপটা,  ইবনে সিনা প্রভৃতি কোম্পানি। ১০০ কোটি টাকার অথোরাইজ ক্যাপিটালের কোম্পানিটির পেইড-আপ ক্যাপিটাল ৯৩ কোটি  টাকা।  কোম্পানিরটির ২০১৭ সালের ডিলিউটেড নেট এ্যাসেট ভেলু (ন্যাভ) ১২.২৩ পয়সা মাত্র। ২০১৭ সালের শেয়ার প্রতি ডিলিউটেড আয় (ইপিএস) ৯৫ পয়সা। ৯ কোটি ৩০ লাখ শেয়ারের কোম্পানিটিতে শেয়ার হোল্ডিং প্যাটার্নে ইতিবাচক শেয়ার হোল্ডিং রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের। কোম্পানিটিতে ৫১.২৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকের কাছে, ১৯.০৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে, ০০.০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং বাকী ২৯.৬৯ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে। প্রথম দিনে লেনদেন ৩০ টাকার থেকে ৫০ টাকার কাছাকাছি হতে পারে। তবে অনেকে মনে করেন কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা কম হওয়ার কারণে চাহিদা বৃদ্ধি পেতে পারে। বর্তমানে ফার্মাসিউটিক্যালস  সেক্টরের গড় পিই (প্রাইজ আর্নিং) প্রায় ১৭। সেই বিবেচনায় নিলে কোম্পানির শেয়ারটির দাম হবে ১৭ টাকার কাছাকাছি (১৭/.৯৫=১৭.৮৯)। তবে নতুন বউয়ের যেমন কদর বেশি, নতুন শেয়ারেরও তেমন মার্কেটে কদর বেশি থাকে। তাছাড়া নতুন লিস্টেড কোম্পানির প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা ও সম্ভাবনা বিবেচনায় দেখা গেছে, নতুন তালিকাভূক্ত শেয়ারের চাহিদা সব সময় বেশি থাকে। যার কারণে নতুন লিস্টেড কোম্পানির শেয়ার প্রাইজও সেক্টরের গড় প্রাইজের থেকে বেশি থাকে। তাছাড়া বাংলাদেশের মার্কেটে দেখা যায় ছোট মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনের কোম্পানির প্রাইজটা গড় মার্কেট পিই বা গড়  প্রাইজ সেক্টর পিই থেকে বেশি থাকে। নেট এ্যাসেট ভেলুর (ন্যাভের) ডবল প্রাইজ হলে প্রাইজ হয় (১২.২৩*২) ২৮ টাকা ৪৬ পয়সা। অার নেট এ্যাসেট ভেলুর (ন্যাভের) ডবল প্রাইজ হলে প্রাইজ হয় (১২.২৩*৩) ৩৬ টাকা ৬৯ পয়সা। সাম্প্রতিক সময়ে ফার্মাসিউটিক্যালস  সেক্টরের আরোও একটি কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত হয়েছে সিলভা ফার্মার নামে। কোম্পানিটি বর্তমানে বাজার দর সর্ব নিম্ন ২৮.১০ পয়সা থেকে সর্বউচ্চ ৩৮ টাকার মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এর আগে একই খাতের কোম্পানি অ্যাডভেন্ট ফার্মা বাজারদর  সর্ব নিম্ন ২৯.৫০ পয়সা থেকে সর্বউচ্চ ৫৫.০০ টাকার মধ্যে লেনদেন হয়েছে। ইন্দো-বাংলা ফার্মা আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে এ অর্থ উত্তোলন করেছে। উত্তোলিত টাকায় অবকাঠামো নির্মাণ, মেশিনারিজ ক্রয় এবং আইপিও সংক্রান্ত খাতে ব্যয় করবে। ফিক্সট পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসা বইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লটারি ১১ সেপ্পেম্বর ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটের আইইবি মিলনায়তনে সম্পন্ন হয়েছে। কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে এএফসি ক্যাপিট্যাল, ইবিএল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড এবং সিএপিএম অ্যাডভাইসরি লিমিটেড। ন্যাশনাল ব্যাংকের সঙ্গে কোম্পানির ঋণ সংক্রান্ত সমস্যা  কেন্দ্র করে কোম্পানিটির আইপিওর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দেয়  আদালত।  ইতোমধ্যে আদালতের দেয়া আইপিও স্থগিতাদেশ  প্রত্যাহার  করেছে উচ্চআদালত । ন্যাশনাল ব্যাংকের সঙ্গে কোম্পানির ঋণ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের পর এই সম্মতিপত্র পায় কোম্পানিটি। কোম্পানিটির ৪ জন পরিচালক ঋণ খেলাপি হওয়ায় ন্যাশনাল ব্যাংকের পক্ষ থেকে বরিশালের অর্থ ঋণ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। আরো পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন

ব্লক মার্কেটে লেনদেনের রেকর্ড

চেীদ্দ কোম্পানির বোর্ড মিটিংয়ের তারিখ ঘোষণা


আরও পড়ুন:

বিষয়: