স্টাফ রিপোর্টার : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমি আগেও বলেছিলাম বাজারকে শক্তিশালী করার জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসা উচিত। পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী ও স্থিতিশীল করার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন করে আমরা সাতটি কোম্পানিকে বাজারে আনছি।
রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের অর্থমন্ত্রীর নিজ কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম ২০২০’ এর ফলাফল জানাতে এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আলোচিত কোম্পানিগুলোর মধ্যে তিতাস গ্যাস ও পাওয়াগ্রীড আগে থেকেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এই দুটি কোম্পানি আরও কিছু শেয়ার অফলোড করবে। অন্যদিকে বাকী পাঁচটি কোম্পানি নতুন করে শেয়ার ছেড়ে বাজারে তালিকাভুক্ত হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা তারাতারি কোম্পানিগুলোকে শেয়ার বাজারে আনতে চাই। সাতটি কোম্পানিরই ব্যালেন্সশিট এখন এস্টেট করতে হবে। তাই সাতটি ফার্ম দিয়ে অ্যাসেসমেন্টের কাজটা দ্রুত শেষ করতে চাই। এস্টেট রিভ্যালু করার জন্য তাদের দুই মাস সময় দেয়া হয়েছে। আগমী দুই মাসের মধ্যে তারা আমাদের অ্যাসেসমেন্ট করে রিপোর্ট দেবে।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে কোম্পানিগুলো ১০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার বাজারে নিয়ে আসবে। বর্তমানে যেসব প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে রয়েছে তারা বিক্ষিপ্তভাবে আছে। পুঁজিবাজারকে আরো গতিশীল করতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ প্রয়োজন। এজন্য সাতটি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজারের জন্য ধরা হয়েছে। এই সাতটি প্রতিষ্ঠানকে খুব শিগগিরই শেয়ার বাজারে আনা হবে।
মুস্তফা কামাল বলেন, উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশের পুঁজিবাজারও ব্রডবেজড করতে হবে। আমাদের শেয়ার বাজারে যারা আছে তারা নিজস্বভাবে আছে। এই কোম্পানিগুলো কত দিনের মধ্যে পুঁজিবাজারে আসতে পারে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ওভারনাইট তো তাদের আনা যাবে না, একটু সময় লাগবে।