ইমরান হোসেন: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) টানা ১১ কার্যদিবস সূচক বেড়ে লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বছর শেষের ঋণ সমন্বয়, হিসেব সমন্বয়, নতুন করে মার্জিন প্রদান বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা আশঙ্কা দূর ইত্যাদি করণের মনস্তাত্বিক প্রভাব পড়েছে। নতুন বছরে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার লেনদেনে সক্রিয় অংশ গ্রহনে স্টক এক্সচেঞ্জে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার আপট্রেন্ডে।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগকারীদের জন্য গত বছরটি ছিল হতাশাজনক। বছরের শুরু থেকে শেষ কর্ম দিবসে বেঞ্চমার্ক ডিএসইএক্স প্রায় ১৫ শতাংশ পতন হয়েছে। সূত্র ডিএসই ওয়ের সাইট।
বছর ব্যাপি দর পতনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ছিল আলোচনায়। ভাল মৌলভিত্তির শেয়ারের দর পতন এবং তুলনামূলক দুর্বল ও লো-মার্কেট ক্যাপের শেয়ারের দর বৃদ্ধি ছিল চোখে পড়ার মত। জানুয়ারি মাসে মুদ্রানীতিকে সামনে রেখে বাজারে অস্থির অবস্থা শুরু। পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায়, স্টক এক্সচেঞ্জের কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীন-ভারতকে নিয়ে টানাপোড়েনে বাজার নিম্নমুখী হয়। এই সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। নির্বাচনী বছর, মুদ্রাবাজারে তীব্র তারল্য সংকট, এনপিএল বৃদ্ধি, মুদ্রানীতি, এডিআর রেশিও পুণনির্ধারণ ইত্যাদি ইসূতে মার্কেটের পতন হয়।
কিনতু নতুন অর্থ বছরে বাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। গত ১১ কার্যদিবস টানা বেড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ হাজার ২১৮ থেকে বেড়ে ৫ হাজার ৬৭৯ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। নির্বাচনের পর প্রতি কার্যদিবসেই বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। গতকাল ২২ জুলাইয়ের পর প্রথমবারের মতো ডিএসইতে হাজার কোটি ছাড়াল লেনদেন।