স্টাফ রিপোর্টার : বিদেশী বিনিয়োগকারী জেম গ্লোবাল ইল্ড ফান্ডের কাছে ইউপিজিডি’র উদ্যাক্তাদের শেয়ার বিক্রির বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থা নাকচ করে দেওয়ার খবরে বড় দর পতন হয়েছে কোম্পানিটির শেয়ারে।
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ইউপিজিডির শেয়ারের দাম কমে ২৮ টাকা ৭৫ পয়সা বা প্রায় ৮ শতাংশ কমে চার মাস আগের অবস্থানে চলে আসে। এ দিন ডিএসইতে শেয়ারটির ক্লোজিং মূল্য দাঁড়ায় ২৯৪ টাকা ৩০ পয়সা। চার মাস আগে ২৪ ডিসেম্বর শেয়ারটির দাম ছিল ২৯৮ টাকা ৮০ পয়সা।
উল্লেখ, ইউপিজিডি’র উদ্যাক্তারা কোম্পানির সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ময়মনসিংহ পাওয়ার লিমিটেড (ইউএমপিএল) এ থাকা তাদের শেয়ারের একটি অংশ বিক্রি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জেম গ্লোবাল ইল্ড ফান্ড এলএলসি এসসিএস-এর সঙ্গে চুক্তি করেছিল।
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আলোচিত চুক্তি অনুসারে শেয়ার বিক্রির বিষয়ে সম্মতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ সিদ্ধান্তের খবরে শেয়ারটির বড় দর পতন হয়। অবশ্য গত কয়েকদিন ধরেই ক্রমাগত শেয়ারটির দাম কমছিল।
জানা গেছে, গত ৮ এপ্রিল ইউনাইটেড পাওয়ারের পক্ষ থেকে বিএসইসিকে জেম গ্লোবালের কাছে শেয়ার বিক্রির চুক্তির বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়। সে দিন বিএসইসি কোনো সিদ্ধান্তের কথা না জানালেও তাদের প্রতিক্রিয়া ছিল অনেকটাই নেতিবাচক। সেই খবর চাওর হয়ে গেলে সেদিনই শেয়ারটির বড় দর পতন হয়। পর পর কয়েকদিন লেনদেনের মাঝখানে শেয়ারটির ক্রেতা উধাও হয়ে পড়ে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ৭ এপ্রিল ইউপিজিডি’র শেয়ারের দাম ছিল ৩৮১ টাকা ১০ পয়সা। আজ ২৪ এপ্রিল তা ২৯৪ টাকা ৩০ পয়সা দাঁড়িয়েছে। গত ১০ দিনে শেয়ারটির দাম কমেছে ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা বা প্রায় ২২ শতাংশ।
জানা গেছে, গত জানুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে কোনো এক বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে ইউপিজিডি’র উদ্যাক্তাদের শেয়ার বিক্রির খবর রটে যায়। তখন থেকে শেয়ারটির দাম টানা বাড়তে থাকে। এক মাস ব্যবধানে এই শেয়ারের দাম ৩২৩ টাকা থেকে বেড়ে ২ ফেব্রুয়ারি ৪১৯ টাকায় উঠে। আজকের ক্লোজিং মূল্য সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ১২৫ টাকা বা প্রায় ৩০ শতাংশ কম।
ডিএসইতে বুধবার কোম্পানিটির ৭ লাখ ৯৭ হাজার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এ দিন শেয়ারটির সর্বোচ্চ দাম উঠে ৩১৬ টাকা ১০ পয়সা, আর সর্বনিম্ন দাম ২৯৪ টাকা ৩০ পয়সা।