স্টাফ রিপোর্টার: আগামী সপ্তাহের শেষভাগে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য ঘোষণা করা হবে নতুন মুদ্রানীতি। সর্বশেষ মুদ্রানীতিতে (জুলাই’১৮-ডিসেম্বর’১৮) বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বেসরকরি খাতে বিনিয়োগ ও ঋণ কমে গেছে। এই মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়টা বিবেচনায় রাখা দরকার। এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে যথাযথভাবে ঋণ পৌঁছানোর বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির নামে অনেক কথা বলা হয় কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ সহজে ঋণ পান? উত্তরটি এখনও না। এক্ষেত্রে নজর দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, “রপ্তানি বৃদ্ধির শর্তে ডলারের দাম কমানো যেতে পারে। কিন্তু আমদানি খরচ যেন না বাড়ে সে দিকেও দেখতে হবে।
একদিকে ব্যাংকে আমানতের প্রবাহ কমছে। বিপরীতে বেড়েছে খেলাপি ঋণ। এতে কমে যাচ্ছে ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতা, বাড়ছে বিনিয়োগ ব্যায়। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এতে বাড়ছে সরকারের ব্যাংক ঋণ। এমন পরিস্থিতির উন্নতি প্রয়োজন।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বিনিয়োগ সম্ভবনা বাস্তবায়ন করতে হলে ঋণের প্রয়োজন হবে। সুতরাং এই মুহুর্তে বাংলাদেশ ব্যাংক যদি ডলার বিক্রি করতে থাকে তাহলে ব্যাংকিং খাতে তারল্যের সংকট তৈরি হবে। তাই মুদ্রা বিনিময়ের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার পরামর্শ দেন। তাহলেই মুদ্রানীতি বিনিয়োগ সহায়ক হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে যে পরিমাণ বৈদেশিক সম্পদ রয়েছে সেখান থেকে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিক্রি করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে বাজারে তারল্য সংকট দেখা দিতে পারে। সুতরাং পরবর্তী মুদ্রানীতিতে মুদ্রা বিনিময় হারের ব্যবস্থাপনাতেও নজর দেওয়া দরকার।এছাড়া ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রেও গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। মুদ্রানীতিতে কিভাবে এই মান নিশ্চিত করা হবে তার একটি পরিষ্কার গাইড লাইন থাকা প্রয়োজন।
উল্লেখ, দেশের সার্বিক অর্থনীতি পরিচালনায় বছরে দুইবার জুলাই ও জানুয়ারি মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।