স্টাফ রিপোর্টার: কোনো ব্যাংক যদি মরতে চায়, তাকে মরতে দেওয়া উচিত, নিজের অব্যবস্থাপনার কারণে বন্ধ হতে যাওয়া ব্যাংক রক্ষা করলে তা ভালো ব্যাংককে নিরুৎসাহিত করে, বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাসেম খান।
শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে ঢাকা চেম্বারের প্রস্তাব তুলে ধরতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবুল কাসেম খান এ মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণে সরকারের পক্ষ থেকে টাকা দেওয়ার বিষয়টি আমরা সমর্থন করি না। এটা জনগণের করের অর্থ। যারা ফেল করতে চায়, তাদের ফেল করতে দেওয়া উচিত। ফেল করার সময় বারবার সহায়তা দেওয়া হলে ভালো ব্যাংককে তা নিরুৎসাহিত করে।
ব্যাংকে তদারকি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, প্রতিটি ব্যাংকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ঋণ দেওয়া নিশ্চিত করা দরকার। এক কোটি টাকা ঋণ দিতে যে নিয়মকানুন অনুসরণ করতে হয়, ১০০ কোটির ক্ষেত্রে তা আরও কঠোরভাবে অনুসরণ করা দরকার। খেলাপি ঋণ আদায় করতে উদ্যোগ প্রয়োজন, এ ক্ষেত্রে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বারের পক্ষ থেকে আগামী বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো, কর হার কমানো, করপোরেট বা প্রাতিষ্ঠানিক কর কমানো, অবকাঠামো খাতে গুরুত্ব দেওয়া, বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে নানা পদক্ষেপের পরামর্শ দেওয়া হয়।