স্টাফ রিপোর্টার : প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) শেয়ার ইস্যু করে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে মূলধন উত্তোলনের ক্ষেত্রে নতুন কিছু শর্ত আরোপ করার প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল বিকালে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ডিএসই যে কোনো কোম্পানির প্লেসমেন্টের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। সংস্থাটির প্রস্তাব অনুসারে, এটি হতে পারে পরিশোধিত মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ। অর্থৎ কোনো কোম্পানির বিদ্যমান পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি টাকা হলে সেটি সর্বোচ্চ আড়াই কোটি টাকার প্লেসমেন্ট করতে পারবে।
ডিএসই প্লেসমেন্ট শেয়ারের উপর বিদ্যমান লক-ইন (শেয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা) এর মেয়াদ বাড়ানোরও প্রস্তাব করেছে। বর্তমানে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) প্রসপেক্টাস অনুমোদনের দিন থেকে এক বছর সময় পর্যন্ত প্লেসমেন্ট শেয়ারের উপর লক-ইন থাকে। ডিএসই প্রসপেক্টাস অনুমোদনের দিনের পরিবর্তে স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ারের লেনদেন শুরু দিন থেকে লক-ইনের সময় গণনার প্রস্তাব করেছে।
উল্লেখ, একটি কোম্পানির প্রসপেক্টাস অনুমোদনের পর বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আইপিওর আবেদন ও টাকা জমা দেওয়া, শেয়ার বরাদ্দের লটারি অনুষ্ঠান, সফল বিনিয়োগকারীদের বিও একাউন্টে শেয়ার পাঠানো, স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে তালিকাভুক্তির চুক্তির প্রক্রিয়াসহ লেনদেন শুরু করতে ৩ মাস থেকে থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়। তাই প্রসপেক্টাস অনুমোদনের দিনের পরিবর্তে লেনদেনের দিন থেকে লক-ইনের মেয়াদ গণনা শুরু হলে বর্তমানের চেয়ে ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত বেশি সময় লক-ইন থাকবে প্লেসমেন্ট শেয়ারে।
এছাড়া প্লেসমেন্টধারীর সর্বোচ্চ সংখ্যা ৫০ নির্ধারণ করে দেওয়ার প্রস্তাব করেছে ডিএসই। বর্তমানে ১০০ জন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে প্লেসমেন্টে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া যায়।
বিএসইসির পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএসইসিতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। এ সময় বিএসইসির কমিশনার প্রফেসর হেলাল উদ্দিন নিজামী, ড. স্বপন কুমার বালা, কামালুজ্জানসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে ডিএসইর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম এ হাশেম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান, পরিচালক শরীফ আতাউর রহমান, পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন প্রমুখ বেঠকে অংশ নেন।