মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান : পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত কোম্পানি ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেড দিনকে দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। সম্প্রতি কোম্পানিটির ক্যাটাগরির অবনমন হয়েছে। কোম্পানিটি বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে অবনমন হয়ে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। এর ফলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী ২৬ ডিসেম্বর থেকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কোম্পানিটি কোনো ঋণ সুবিধা পাবে না। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, ৩০ জুন ২০২০ অর্থবছরে কোম্পানিটি প্রফিট হয়েছিল ৪ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আর ৩০ জুন ২০২১ অর্থবছরে কোম্পানিটির ট্যাক্স পরবর্তী প্রফিট হয়েছে ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটির প্রফিট কমেছে এক কোটি ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। কোম্পানিটির এই প্রফিট কমে যাওয়া শেয়ারহোল্ডার ও কোম্পানির জন্য মোটেই সুখবর নয়।
শুধু যে প্রফিট বা ক্যাটাগরির অবনমন হয়েছে তাই নয়, কোম্পানিটির পিই রেশিও মোটেই শেয়ারহোল্ডারদের অনুকূলে নয়। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে পিই রেশিও ছিলো ৭০ দশমিক ৬৬। অর্থাৎ কোম্পানিটিতে কোন শেয়ারহোল্ডার বিনিয়োগ করলে বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী সেই বিনিয়োগ তুলে নিতে উল্লেখিত শেয়ারহোল্ডারের ৭০ বছরের অধিক সময় লেগে যাবে। যা সত্তিই হতাশাজনক।
ডিভিডেন্ডের দিক দিয়েও কোম্পানিটির অবনতি হয়েছে। গত বছর ৩০ জুন ২০২০ অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৮ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আর ৩০ জুন ২০২১ বছরে কোম্পানিটি ২ শতাংশ কমিয়ে ৬ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড অনুমোদন করেছে। যা কোম্পানিটির আর্থিক রিপোর্ট থেকে জানা যায়।
কোম্পানিটির সচিব মো. মনির হোসেন স্টক টাইমসকে বলেন, করোনা ভাইরাসের পেন্ডেমিক সিচুয়েশনে আমাদের কোম্পানির প্রফিট কমে গেছে। আমাদের ব্যবসা মুলত এডুকেশন ভিত্তিক। স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পেন্ডেমিকের কারণে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় আমাদের ব্যবসাও ডাউন হয়েছে। প্রফিট কমে গেছে।
উল্লেখ্য আজ সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ক্লোজিং দর ছিলো ৬৪ দশমিক ৮০ টাকা। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিলো ৬৭ টাকা। প্রায় এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর বাড়েনি বরং কমেছে।