স্টাফ রিপোর্টার : জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড তার সম্প্রসারিত নতুন প্রকল্পের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর আশা করছে কর্তৃপক্ষ। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ, জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড চট্টগ্রামের কুমিরায় তার বিদ্যমান কারখানার পাশে বিশ্বের সর্বাধুনিক ইএএফ কোয়ান্টাম প্রযুক্তির নতুন কারখানা স্থাপন করেছে। ইউরোপের প্রাইমেটাল টেকনোলজিস লিমিটেড এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। প্রাইমেটাল হচ্ছে জাপানের মিৎসুবিশি ও জার্মানির সিমেন্সের যৌথ উদ্যোগের একটি কোম্পানি।
কারখানাটিতে এমএস বিলেট ও এমএস রডের পাশাপাশি মিডিয়াম সেকশন প্রোডাক্টস তথা এঙ্গেল, চ্যানেল, স্টিল বিম, প্ল্যাটবার ইত্যাদি উৎপাদিত হবে।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, নতুন কারখানার কোল্ড কমিশনিং চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি শেষ হয়েছে। প্ল্যান্ট সরবরাহকারী প্রাইমেটাল টেকনোলজিসের শিডিউল অনুসারে গত ৩০ জুন হট কমিশনিং হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে বিদেশী প্রকৌশলীরা আসতে না পারায় সেটি বিলম্বিত হয়। বিদেশী প্রকৌশলীদের বাংলাদেশে আসা সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি পর্যায়ে স্থানীয় প্রকৌশলীরা প্ল্যান্ট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীদের সাথে ডিজিটাল যোগাযোগের মাধ্যমে নিজেরাই পরীক্ষামূলকভাবে হট কমিশনিংয়ের কাজ শুরু করেছে।
শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর জিপিএইচ ইস্পাতের পরিচালনা পর্ষদ বিদেশী প্রকৌশলীরা না আসা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক উৎপাদন চালিয়ে যাওয়া এবং উৎপাদিত পণ্য ৭ সেপ্টেম্বর থেকে বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানা গেছে, নতুন কারখানা পূর্ণ সক্ষমতায় চালু হলে জিপিএইচ ইস্পাতের এসএম বিলেট উৎপাদনের ক্ষমতা বেড়ে ৬ গুণে উন্নীত হবে। কোম্পানির আগের কারখানাতে বার্ষিক বিলেট উৎপাদনক্ষমতা ১ লাখ ৬৮ হাজার টন। নতুন কারখানায় উৎপাদন হবে ৮ লাখ ৪০ হাজার টন বিলেট। সব মিলিয়ে বিলেট উৎপাদনের ক্ষমতা বেড়ে হবে ১০ লাখ ৮ হাজার টন।
অন্যদিকে এমএস রড ও মিডিয়াম সেকশনের উৎপাদন ৭ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন।