স্টাফ রিপোর্টার : বিএসইসি চীনের শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ কনসোর্টিয়ামকে, ডিএসইয়ের কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে অনুমোদন দেওয়ার পর হঠাৎ করেই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ চায়না-বাংলাদেশ জয়েন্ট ভেঞ্জার কোম্পানি সিনোবাংলায়। ডিএসইতে শেয়ারটির প্রাইজ ও ভলিউম ও ট্রেডে ইতিবাচাক প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
শতভাগ রপ্তানিমুখী সিনোবাংলা গত বছর ১০% ক্যাশ লভ্যাংশ প্রদান করে ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরি ফিরে। ২০১৬ সালে প্রায় ২মিলিয়ন ডলার ব্যায়ে বড় ধরনের সম্প্রসারণ পরিকল্পনা হাতে নেয় কোম্পানিটি;আর এই সম্প্রসারণ বাস্তবায়ন হওয়ার ফলে ইপিএসে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
এদিকে সিনোবাংলা তৃতীয় প্রান্তিকে গতবছরের থেকে ভাল ইপিএস করেছে। তৃতীয় প্রান্তিক(জানু.-মার্চ,১৮)শেষে ইপিএস হয়েছে .৬২ পয়সা। যা গত বছর একই সময়ের থেকে ২ পয়সা বেশি।
বিনিয়োগকারী আরিফুর রহমান বলেন, কোম্পানির ব্যবস্থাপনার ্কর্তৃপক্ষের উপর আমাদের বিশ্বাস আছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত বিনিয়োগকারী হওয়ায় কোম্পানির প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে প্রাইজে। আর কোম্পানির অবস্থা ভাল বলেই কোম্পানি নতুন করে সম্প্রসাররে যেতে পারছে, জমি কিনেছে, নতুন ম্যাশিনারিজ স্থাপন করেছে।
বিগত বছরগুলো পর্যাচোলনা করে দেখা যায়, কোম্পানিটি কখন বোনাস ঘোষণা না করে ক্যাশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যা একটি ভাল ব্যবস্থাপনার সাইন।

কোম্পানিটি ২০১৬ সালে নতুন করে সম্প্রসারণে যাওয়ার ঘোষণা দেয় এবং এ লক্ষ্যে ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গনের আশেপাশে জমি ক্রয় করে। পাশাপাশি বিদেশ থেকে ৭ ক্যাটাগরির নতুন মেশিনও আমদানির করেছে। এর জন্য কোম্পানিটির ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৬ কোটি টাকা সমান।
যার মধ্যে রয়েছে একটি ভিআইজেড, একটি টেপ লাইন, ২০টি লুম, একটি বেল প্রেস মেশিন, একটি অটো কাটিং সুইং মেশিন, একটি প্রিন্টিং মেশিন, ৮টি সনিক সুইং মেশিন এবং অতিরিক্ত ওয়্যারহাউস। এতে কোম্পানিটির মাসিক উৎপাদন ১৫০ মেট্রিক টন বাড়বে।