স্টাফ রিপোর্টার: ২০১৮-১৯ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ও আথিকনীতির সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে বড় কোন পরিবর্তন করা হয়নি। উক্ত সময়ে মুদ্রানীতিতে অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৫.৯০%।
বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৬.৫০% যা প্রথমার্ধে ছিল ১৬.৮০%। অর্থাৎ বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমানো হয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩.৩০%।
সরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ১০.৯০% যা প্রথমার্ধে ছিল ৮.৫০%। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে সরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩.৩০%।
এছাড়া মুদ্রানীতিতে রেপো ও রিভার্স রেপো সুদ হার যথাক্রমে ৬% ও ৪.৭৫% এ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১২%।
বাজার তারল্য এবং বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে প্রত্যাসিত জোরালতর বিনিয়োগ কর্মকান্ডের সূত্রে আমদানির সম্ভাব্য বৃদ্ধির কারণে নীট বৈদেশিক সম্পদের ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি প্রথমার্ধের প্রক্ষেপিত -১.৬০% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে -৩.৪০% এ প্রক্ষেপিত হয়েছে যা বাজার তারল্যের উপর এবং বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ স্থিতির উপর বর্ধিত চাপ আনতে পারে।
ব্যবসায়ে অর্থায়ন প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, করপোরেট খাতের অত্যাধিক ব্যাংক নির্ভর মেয়াদি অর্থায়নকে ক্রমশ মূলধন বাজারে বন্ড ইস্যু করে অর্থায়নের দিকে মোড় ঘোরাবার চলমান প্রয়াসের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের মেয়াদি অর্থায়ন আহরণের সরলতর ক্রাউডফান্ডিং বিকল্পটির বিধি ব্যবস্থা প্রণয়ন ও প্রবর্তন সময়োচিত হবে।
প্রসঙ্গত, দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে পরবর্তী ছয় মাসে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে এর একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি বছর দুইবার মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে। ছয় মাস অন্তর এই মুদ্রানীতি একটি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাই মাসে এবং অন্যটি জানুয়ারি মাসে।