স্টাফ রিপোর্টার: ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে গ্রামীণফোন লিমিটেডের। কোম্পানিটির বাৎসরিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে জানা যায় গত বছর ৭৪ লাখ নতুন গ্রাহক যোগ হয়েছে গ্রামীণফোনে। এরমধ্যে ৫৯ লাখ গ্রাহকই হচ্ছে ইন্টারনেট গ্রাহক। ফলে কোম্পানিটিতে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট গ্রাহকের ৫১ শতাংশ।
গতবছর কোম্পানিটি রাজস্ব আয় করেছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৮০ কোটি টাকা যা আগের বছরের তুলনায় ৩.৪% বেশি। ২০১৮ সালে ইন্টারনেট এবং ভয়েস থেকে অর্জিত রাজস্ব আয় বেড়েছে যথাক্রমে ২১% এবং ৬.৬%। এদিকে শুধুমাত্র চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০১৮) রাজস্ব আয় বেড়েছে ৭.৭%।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন, ২০১৮ বাজারে খুবই প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে থাকা সত্ত্বেও পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা একটি শক্তিশালী ব্যবসায়িক ফলাফল নিয়ে এসেছি। ফেব্রুয়ারিতে আমরা ৪জি চালু করেছিলাম। কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার নানা নির্দেশাবলীর কারণে এবছর নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তারপরও আমাদের ভয়েস ও ডাটা খাতে প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক ছিলো। ভবিষ্যতে আমাদের কর্মপদ্ধতিকে আরো দক্ষ ও দ্রুতগতি সম্পন্ন করে।
গ্রামীণফোনের সিএফও কার্ল এরিক ব্রোতেন বলেন, গ্রামীণফোন দক্ষতা এবং শক্তিশালী মুনাফা প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে আরেকটি বছর সম্পন্ন করেছে। এটা সম্ভব হয়েছে গ্রাহকদের সেবা ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে। ২০১৮ সালে আমরা সেবার মূল্য নির্ধারণ বিশেষ করে ইন্টারনেটের মূল্য ও ভয়েস ট্যারিফ নির্ধারণে বেশ প্রতিযোগিতা সন্মুখীন হয়েছিলাম ।
তিনি আরো বলেন, এই বাজারের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা, দক্ষতা বৃদ্ধি ও সহজীকরণ উদ্যোগে বিশেষ মনোযোগ দেয়ায় এই কোম্পানি আগামীতেও লাভজনক প্রবৃদ্ধি এনে দিতে পারবে বলে আমরা আশাবাদী।
গ্রামীণফোনের সিইও বলেন, ২০১৯ সালে বাস্তবায়ন হতে পারে এমন বেশ কিছু নীতি নির্ধারন বিষয় এখন আলোচনাধীন। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আসন্ন এসএমপি (সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার) এবং টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্সিং এবং সেবার মান সংক্রান্ত বিধিমালা। আমরা মোবাইল শিল্পের সেবাকে আরো উন্নত করতে সরকার ও এই খাতের মধ্যে অর্থপূর্ণ আলোচনার বিষয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতির কথা আবারো উল্লেখ করছি, যা বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিকে অব্যাহত রাখতে সহায়তা করবে।