স্টাফ রিপোর্টার : দেশের অন্য মোবাইল কোম্পানিগুলোর চেয়ে গ্রামীণফোনে কলড্রপ সবচেয়ে বেশি জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্ক ও কলড্রপ নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
এছাড়া যে সব এলাকায় এই সমস্যা বেশি সেখানে মন্ত্রণালয় থেকে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে তদন্ত করারও দাবি উঠেছে কমিটিতে।
সম্প্রতি জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে অভিযোগের জবাবে ভবিষ্যতে আরও বেশি আধুনিকতার স্পর্শে গ্রাহকের স্বার্থরক্ষার কাজ করা হবে বলে জানায় গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানায়, বৈঠকে কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ বলেন, গুলশান বনানী এলাকা থেকে তার গ্রামের বাড়ি মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরত্ব। সেখানে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক সব সময় পাওয়া যায় না। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়সহ গ্রামীণফোনের টেকনিক্যাল কমিটির সমন্বয়ে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
সভাপতি বলেন, যে সব জায়গায় নেটওয়ার্ক, কলরেট ও কলড্রপ সমস্যা দেখা যায় ওই সব জায়গায় মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে টেকনিক্যাল কমিটি মনিটরিংসহ অন্য বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা উচিত।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সার্ভিস প্রোভাইডের মাধ্যমে দেখা যায় গ্রামীণফোনের (জিপি) চেয়ে রবি, টেলিটক, বাংলালিংকের কলড্রপের রেট কম। সবচেয়ে বেশি কলড্রপ জিপির।
তিনি বলেন, ফাইনান্সিয়াল অডিটের সঙ্গে টেকনোলজি অডিট সংযুক্ত করে শক্তিশালী যুগোপযুগী কমিটি গঠন করা যেতে পারে। সংসদ ভবন, গণভবন এরিয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো নেটওয়ার্কের আওতায় বিবেচনায় রেখে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে সুদৃষ্টি রাখা উচিত।
জিপির ঘন ঘন কলড্রপ, নেটওয়ার্ক ও কলরেট সম্পর্কে জানতে চাইলে গ্রামীণফোনের নির্বাহী পরিচালক হোসাইন সাহাদাৎ ওই সংস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত সভায় তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, তাদের নিজস্ব কিছু সমস্যা আছে এবং এ ক্ষেত্রে বিটিআরসি ও গ্রামীণফোন সব সময় জনগণের স্বার্থরক্ষায় কাজ করে থাকে। ভবিষ্যতে আরও বেশি আধুনিকতার স্পর্শে গ্রাহকের স্বার্থরক্ষার কাজ করা হবে বলে বৈঠকে তিনি জানান।
কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে বৈঠকে টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বেনজীর আহমদ, নূরুল আমিন, মনিরা সুলতানা, জাকিয়া পারভীন খানম ও অপরাজিতা হক অংশ নেন।