স্টাফ রিপোর্টার: সম্প্রতি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এম. এল. ডায়িংয়ের আইপিও শেয়ারের যোগ্য বিনিয়োগকারী অংশের প্রায় ২৫ শতাংশ শেয়ার ম্যাচিউড হবে আগামী ১২ মার্চ। যা পরিমানে ২৫ লাখ শেয়ার।
বিক্রয় যোগ্য হলে ঐ শেয়ার বিক্রয় করবে, না ধরে রাখবে সেটা বিনিয়োগকারী ইনিস্টিটিশনের নিজেস্ব সিদ্ধান্ত। এম.এল. ডায়িং ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে পূঁজিবাজার থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করে।
১৭ সেপ্টেম্ব, ১৮ তারিখে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত হওয়া কোম্পানির প্রসপেক্টরস অনুমোদনের এক বছর পূর্ণ হবে আগামী ১২ এপ্রিল,১৯ তারিখে।
কোম্পানির প্রোসপেক্টর থেকে জানা যায়, ১০০ শতাংশ এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড (ডাইংয়ের) কোম্পানি হিসেবে এম.এল ডাইংয় এনবিআর থেকে ভ্যাট সুবিধা ভোগ করে।
তবে অভিযোগ আছ প্রণোদনা সুবিধায় আনা কাঁচামাল অবৈধভাবে অপসারণ করে রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে এমএল ডায়িং লিমিটেড । ঢাকা বন্ড কমিশনারেটের অনুসন্ধানে রাজস্ব ফাঁকি প্রমাণ হওয়ায় জরিমানাসহ কোম্পানিটির কাছে প্রায় ২ কোটি টাকা দাবি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এ অর্থ পরিশোধ না করলে কাস্টমস আইন অনুযায়ী শাস্তির কথা জানিয়ে এরই মধ্যে এমএল ডায়িংকে চিঠিও দিয়েছে সংস্থাটি।
এনবিআরের কর্মকর্তারা বলছেন, স্থানীয় শিল্প বিকাশে প্রণোদনা হিসেবে রফতানির শর্তে কাঁচামাল আমদানিতে বিশেষ বন্ড সুবিধা দিয়ে আসছে সরকার। এ সুবিধায় শুল্কমুক্তভাবে কাঁচামাল আমদানি করে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। তবে কোম্পানিকে এনবিআরের অনুমতি নিয়ে কাঁচামাল ব্যবহার ও পণ্য রফতানি করতে হয়।
এমএল ডায়িংয়ের বিরুদ্ধে এ বন্ড সুবিধা নিয়ে তা অপব্যবহারের অভিযোগে আসে এনবিআরে। অভিযোগের ভিত্তিতে কোম্পানিটির কারখানা ও প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে কাঁচামাল অবৈধভাবে অপসারণের প্রমাণ পাওয়া যায়। ৪ কোটি ৯ লাখ টাকার কাঁচামাল অবৈধভাবে অপসারণ করার অভিযোগে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরবর্তীতে শুনানি শেষে কোম্পানিটিকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা ও অবৈধ অপসারণকৃত কাঁচামালের বিপরীতে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা শুল্ক দাবি করা হয়েছে।