মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান : পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত কোম্পানি এম.এল. ডাইং লিমিটেডের পাবলিক শেয়ার যথেষ্ট পরিমানে কমেছে। অপরদিকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বেড়েছে। এটাকে সুদৃষ্টিতে দেখছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। কারণ তারা মনে করেন, পাবলিক শেয়ার কমে গিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার যত বাড়বে তাদের বিনিয়োগ তত নিরাপদ থাকবে।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির পাবলিক শেয়ার ছিল ২১ দশমিক ০৪ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ২৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। প্রায় এক বছরের ব্যবধানে ৩১ মে ২০১৯ সময়ে কোম্পানিটির পাবলিক শেয়ার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ০৩ শতাংশ।
অর্থাৎ প্রায় এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির পাবলিক শেয়ার বেড়েছে ২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আর একই সময়ের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কমে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। কিন্তু এক মাসের ব্যবধানে অর্থাৎ ৩০ জুন ২০১৯ মেয়াদে কোম্পানিটির পাবলিক শেয়ার কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির পাবলিক শেয়ার কমেছে ১৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বেড়েছে ১৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ যে পরিমান পাবলিক শেয়ার কমেছে ঠিক সেই পরিমান শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কিনে নিয়েছেন।
এম.এল ডাইং লিমিটেডের কোম্পানি সচিব এ.কে.এম আতিকুর রহমান জানান, আসলে কোম্পানির শেয়ার কারা কিনলো আর কারা বিক্রি করলো সেব্যাপারটা আমরা জানি না। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) আমাদেরকে যে হিসাবটা দেয় সেটাই আমরা কোম্পানির প্রোফাইলে আপলোড করে থাকি।
উল্লেখ্য, গত বছর তালিকাভূক্ত হওয়া কোম্পানিটি বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার দর রয়েছে ৩৩ দশমিক ৯০ শতাংশ। গত ৫২ সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর ওঠানামা করেছে ১০ টাকা থেকে ৫৯ দশমিক ৮০ টাকা। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২১০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ১৯২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল।